সেলিম উদ্দীন, ঈদগাঁও,কক্সবাজার : কক্সবাজার সদর উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের গোমাতলী বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রকল্প অদৃশ্য কারনে আটকে থাকায় নিয়মিত জোয়ার ভাটার কারনে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন গোমাতলী সমবায় কৃষিও মোহাজের উপনিবেশ সমিতির সহ-সভাপতি সাইফুদ্দীন। আগামি শুষ্ক মৌসুতে অন্তত ২ হাজার একর জমিতে লবণ মাঠ হবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া চলতি মৎস্য মৌসুমে অন্তত ১২শ একর জমিতে চিংড়ি চাষ হয়নি বলে দাবী করেছেন স্থানীয়রা।

লাল ফিতায় বন্দী গোমাতলী পাউবো বেড়ীবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প। তাই সময়মত সকল জটিলতা অবসান করে যথা সময়ে কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড় দিয়ে কাজ শুরু না হলে গোমাতলী মানুষের বড় ধরণের আর্থিক ক্ষতি হতে পারে বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, চলতি বছর গোমাতলীতে বেড়ীবাঁধ নির্মাণের জন্য ১ কোটি ৬০লাখ টাকার একটি প্রকল্প সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠায় পানি উন্নয়ন বোর্ড। প্রস্তাবটি পাশ হওয়ার পরও দীর্ঘদিন ধরে ফাইলবন্দী হয়ে আছে। প্রস্তাবটি গোমাতলীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করতে গুরুত্বপুর্ণ প্রকল্প হলেও এ জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ছাড় না হওয়ায় হতাশায় ভুগছেন গোমাতলীর ২০ হাজার বাসিন্দা। সম্প্রতি জোয়ারের পানিতে সি-বল্ক ঘোনার ৬নং স্লুইচ গেইট পয়েন্টের বেড়িবাঁধের ভাঙ্গা অংশ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে অসংখ্য বসতবাড়ি,চিংড়ি ঘের প্লাবিত হয়। জোয়ারের সময় পানি প্রবেশ করলে তা ভাটার সময় বের না হওয়ায় সমগ্র এলাকা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

পোকখালী ইউপি চেয়ারম্যান রফিক আহমদ জানান, গোমাতলীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করা স্থানীয় লোকজনের অন্যতম দাবী হলেও নানা জটিলতার কারণে প্রতিবারই নির্মান কাজে ব্যহত হচ্ছে। সময়মত কাজ না করলে তা কোন কাজে আসবে না। এখন চলছে বেড়ীবাঁধ নির্মাণের মৌসুম। এই সময়ে কাজ শুরু না করলে আর করা যাবে না। ইতোমধ্যে বেড়িবাধেঁর কিছু অংশ সংস্কার কাজ চলছে। এলাকায় যে জমিগুলো রয়েছে ওই জমিতে যদি জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এতে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে লোকজন। আমরা চাই কাজ করলে সঠিক সময়ে করা হউক।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কোন কাজ করলেও অসময়ে করা হয়। সংশ্লিষ্টরা কাজ কিছু করে চলে যান। পরবর্তীতে বর্ষার কারণে কাজ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়ে দেয়। ফলে প্রতি বছর বেড়ীবাঁধ খোলাই থাকে। সমগ্র গোমাতলী জোয়ার-ভাটায় পরিণত হয়। ক্ষতিগ্রস্থ হয় মানুষের বসতবাড়ি, রাস্তা ঘাট ও জমি।

কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান নির্বাহী সবিবুর রহমান জানান, প্রকল্পটির প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। ঠিকাদারের গাফেলতির কারনে কাজে ধীরগতি হচ্ছে।