এইচ. এম. রুস্তম আলী, ঈদগাঁও :

নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়াতে সাবেক ৩ তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কক্সবাজার আগমণে ঈদগাঁওবাসী উজ্জীবিত। ২৯ অক্টোবর দুপুরের পর থেকে পুরো ঈদগাঁও মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়। বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা একদিকে নেত্রীকে স্বাগত জানাতে রাজপথ প্রকম্পিত করেছেন। তেমনি নিজেদের জনভিত্তি জানান দিতে ব্যাপক শো-ডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছিল দলটি। ফলে ইসলামপুর ইউনিয়নের নতুন অফিস থেকে রশিদ নগর ইউনিয়ন পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে হাজার হাজার মানুষের লাইন অপেক্ষা করতে দেখা যায়। বিশেষ করে ঈদগাঁও বাসস্টেশনে দুপুরের পর থেকে মিছিল আর শ্লোগানে প্রকম্পিত ছিল। ঈদগড়-বাইশারী, চৌফলদন্ডী, গোমাতলী, পোকখালীসহ বৃহত্তর ঈদগাঁওর দূর-দূরান্ত গ্রামগঞ্জ থেকে আসা কিশোর, যুবক, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধসহ অগণিত মানুষের জন¯্রােতে বাসস্টেশনের দু’পাশ এবং বিল্ডিংয়ের ছাদে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ছাতক পাখির মত অপেক্ষায় ছিল লক্ষাধিক মানুষ। কবে একনজর দেখতে পাবে তাদেরই প্রিয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে। বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মী ছাড়াও খালেদা জিয়াকে দেখতে পথে পথে উৎসুখ জনতার ভিড়ও ছিল লক্ষণীয়। ৫ বছরের বেশি সময়ের পর হঠাৎ বেগম জিয়ার আগমণে উল্লাসিত ঈদগাঁওর আপামর জনসাধারণ। বিকাল ৪টায় বেগম জিয়া ঈদগাঁওতে পৌছবেন এমন স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রচার করলেও পথে পথে বিলম্বের কারণে সন্ধ্যা প্রায় সাড়ে ৬টায় খালেদা জিয়ার গাড়ী বহর ঈদগাঁওতে এসে পৌছে। এসময় বাসস্টেশনে যানবাহনের প্রচুর চাপ ছিল। যানজটও বাসস্টেশনে উৎসুখ জনতার ভিড় সামলাতে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো. খায়রুজ্জামানসহ অন্য পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বশীলদের বেশ তৎপর দেখা গিয়েছিল। স্থানীয় এক বিএনপি নেতা জানান, মহাসড়কে যানবাহনের চাপের কারণে নির্দিষ্ট সময়ে নেত্রী পৌছতে পারেননি। বেগম জিয়া লন্ডন থেকে আসার পর তৃণমূল বিএনপির নেতারা বেশ চাঙ্গা এবং কক্সবাজার সফরে নেতাকর্মীদের দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে। এরই প্রতিফলন ছিল আজকের (২৯ অক্টোবর) কক্সবাজার রাজপথ। খালেদা জিয়ার আগমণকে ঘিরে বৃহত্তর ঈদগাঁওর অলিগলি থেকে শুরু করে গ্রামেগঞ্জে নেত্রীকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি চলছিল গত কয়েকদিন ধরে। ব্যানার, ফেস্টুনে ছেয়ে গিয়েছিল চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কসহ আঞ্চলিক সড়কগুলো। এরই ফলে বিকাল হওয়ার আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় যানবাহন চলাচল। এদিকে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে দেখতে বেগম খালেদা জিয়ার আগমণ হলেও বৃহত্তর ঈদগাঁওসহ কক্সবাজার বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর মধ্যে যেন নির্বাচনী আমেজ বইছে। ফলে সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপি নেতা সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজলের শক্তি জানান দিতে নিজ উদ্যোগে ব্যাপক শো-ডাউন ছিল লক্ষ্যণীয়। পাশাপাশি দলের তৃণমূলের সাধারণ সমর্থকেরও তাদের প্রিয় নেত্রীকে দেখতে ছুটে আসেন। নেত্রীর আগমণকে ঘিরে ঈদগাঁওর বিস্তীর্ণ সড়কে ছাত্রদল মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা করে। নেত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অনেকেই ব্যক্তিগতভাবেও হাজির হতে দেখা গেছে। ঈদগাঁও সাংগঠনিক উপজেলা বিএনপির সভাপতি বলেন, নেত্রীর আগমণে শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, সাধারণ মানুষও বেশ উজ্জীবিত ও আনন্দিত। জনগণকে শৃঙ্খলিত করে রেখে সরকার যে বিএনপির জনপ্রিয়তা দমাতে পারেনি, জনতার স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি তার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেন তিনি।