যুগান্তর :
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টিতে ৮৩ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। এ হারের ফলে টি-টুয়েন্টি সিরিজে ২-০ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হল টাইগাররা।

টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মিলারের ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি ও আমলার ঝড়ো ব্যাটিংয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে চার উইকেটে ২২৪ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা।

২২৫ রানের বিশাল টার্গেটে খেলতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ১৪১ রানে অলআউট হয় টাইগাররা।

বাংলাদেশের বিপক্ষে ঐতিহাসিক সেঞ্চুরি করেন প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান ডেভিড মিলার। মাত্র ৩৪ বলে তিনি এ সেঞ্চুরি করে রেকর্ড পাতায় নাম লেখান। টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে এটি সবচেয়ে দ্রুতগতির সেঞ্চুরি। এর আগে রিচার্ড লিভি নামের আরেক প্রোটিয়ান ব্যাটসম্যানের দখলে ছিল সবচেয়ে দ্রুতগতির সেঞ্চুরির রেকর্ডটি। ২০১২ সালে হ্যামিল্টনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লিভি ৪৫ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন।

মিলারের ব্যাটের আগে এ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে কার্যকর ব্যাটসম্যান ছিলেন হাশিম আমলা। একদিকে যখন উইকেট পড়ছিল অন্যদিকে তখন তিনি রানের চাকা সচল রাখছিলেন। তিনি ৫১ বলে ৮৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

সৌম্য সরকারের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ওভারে ১৭ রান নিয়ে টাইগার শিবিরে আশা জাগালেও দ্বিতীয় ওভারেই দুর্ভাগ্যজনকভাবে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফিরে যান ইমরুল কায়েস। উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২১ রানে। আর প্রথম তিন উইকেটের পতন হয় দলীয় ৩২ রানে।

চতুর্থ ওভারে সাকিব ও পঞ্চম ওভারে মুশফিক দ্রুত ফিরে গেলে খেলা থেকে এক প্রকার ছিটকে পড়ে টাইগাররা। ষষ্ট ওভারে সাব্বির ফিরে গেলে বাংলাদেশের পরাজয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যায়। সাকিব (২), মুশফিকুর রহিম (২) ও সাব্বির রহমানও (৫) দ্রুত সাজঘরে ফিরে গেলেও সৌম্য ছিলেন সাবলীল। তার স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে ২৭ বলে ৪৪ রান করে আউট হন। তার ইনিংসটি ছিল ৬টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো। অষ্টম উইকেটে সাইফুদ্দিন-মিরাজ ৩২ রানের জুটি গড়েন।

টি-টুয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে মিলারের ইনিংসটি ছিল ৭টি চার ও ৯টি ছক্কায় সাজানো। শেষ পর্যন্ত এ রেকর্ড গড়ার পথে তিনি সাইফুদ্দিনের ১৯তম ওভারে ৩১ রান সংগ্রহ করেন। ওই ওভারে টানা ৫টি ছক্কা হাঁকান মিলার।

অথচ ওই সেঞ্চুরিটি করার কথা ছিল হাশিম আমলার। ১৬তম ওভার শেষে হাশিম আমলা যখন ৮৫ রান নিয়ে ক্রিজে, মিলার তখন ৪২ রানে অপরপ্রান্তে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৫১ বলে ৮৫ রান করে সাইফুদ্দিনের স্লোয়ার ডেলিভারিতে সৌম্যের ক্যাচে পরিণত হয়ে ফিরে যান দক্ষিণ আফ্রিকার তিন ফরম্যাটেই সেরা ব্যাটসম্যান হাশিম আমলা। তার ইনিংসটি ছিল ১১টি চার ও একটি ছক্কায় সাজানো।

এর আগে সাকিবের ঘূর্ণিতে দক্ষিণ আফ্রিকা দলীয় ৩৭ রানেই প্রথম দুই উইকেট হারায়। দলীয় ২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে দেয়ার পর স্বাগতিকদের ৩৭ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। জেপি ডুমিনিকে (৪) দ্বিতীয় শিকারে পরিণত করেন টাইগারদের টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

রোববার পচেফস্ট্রুমে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে রানেই প্রথম উইকেট হারায়। সাকিবের বল ঠিকমত খেলতে না পেরে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন এম মোসেহলি (৫)।

ভিলিয়ার্স ১৫ বলে ব্যক্তিগত ২০ রান করে সাইফুদ্দিনের বলে ইমরুল কায়েসের হাতে তালুবন্দি হয়ে আউট হন।

টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশ তেমন প্রতিরোধই গড়তে পারেনি। তবে প্রথম টি-২০ ম্যাচে লড়াই করে হেরেছে বাংলাদেশ।

মিডল অর্ডারের দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ের কারণে জয়ের আশা দেখিয়েও শেষ পর্যন্ত ২০ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ।