খুনসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করছে

সৈয়দ মোহাম্মদ শাকিল :
রোহিঙ্গা বর্তমান বিশ্বে এক চরম অমানবিকতার শিকার একটি মুসলিম নৃ-গোষ্ঠীর নাম। বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমারে এ জাতিগোষ্ঠীটি বাস করছে কয়েক শত বছর ধরে। বৌদ্ধ ধর্ম প্রধান দেশটির রাখাইন রাজ্যে বাস করা এ জনগোষ্ঠীটি ১৯৮২ সালে সেই অধিকার হারিয়ে ফেলে। আর তারপর থেকে তারা হয়ে ওঠে মিয়ানমারের ‘বিষফোঁড়া’। ইসলাম ধর্মাবলম্বী এ জাতিটি হয়ে যায় রাষ্ট্রহীন। অতি-সম্প্রতি দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর নির্যাতন-নিপীড়নে লাখো রোহিঙ্গা দেশ ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছে বাংলাদেশে। মিয়ানমার আরকান রাজ্যে সেনা বাহিনীর বর্বরতা থেকে রক্ষা পেতে সীমান্ত দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। নতুন করে ১২ লাখের অধিক রোহিঙ্গা এখন বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। মানবিকতার কারণে বাংলাদেশে এখন রোহিঙ্গারা আশ্রিত। রোহিঙ্গাদের দেয়া হচ্ছে নানা সুযোগ সুবিধা।
মিয়ানমারের রাখাইনে জাতিগত নিধনের শিকার হেয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার জন্য মেঘা উদ্বাস্ত শিবির বানানো কাজ চলমান রয়েছে। রোহিঙ্গাদের স্থান দেয়ার জন্য কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘শরণার্থী’ রোহিঙ্গা ক্যাম্পের কাজ এগিয়ে চলছে। ধীরে ধীরে কক্সবাজারের অন্যান্য শরণার্থী ক্যাম্প বন্ধ করে দেওয়া হবে। “কুতুপালং ক্যাম্পের বাইরে যেসব ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা থাকছেন ক্রমান্বয়ে তা গুটিয়ে একই ক্যাম্পে সবাইকে রাখা হবে। সবাইকে কুতুপালং ক্যাম্পে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিদেশী অর্থায়নে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধুনিক হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। আধুনিক শেড নির্মাণ কাজ অব্যাহত রয়েছে। রোহিঙ্গাদের সেবায় কক্সবাজারে বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। এর মধ্যে মেগা প্রকল্পও রয়েছে। রোহিঙ্গাদেও জন্য খাদ্য নিশ্চিত করণ, বাসস্থান, বস্ত্র, চিকিৎসা সেবা, ল্যাট্রিন, টিউবয়েল, মাতৃসেবা, শিশু পল্লী, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাসহ ত্রাণ কর্যক্রম চলমান রখেছে সরকার।
অন্যদিকে, কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুন, হানাহানি, নিজেদের মধ্যে মারামারি, পুলিশ ও স্থানীয়দের ওপর হামলা এগুলো প্রায় নিত্যদিনের ঘটনা। এছাড়া ইয়াবা পাচার, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজেও জড়িয়ে পড়েছে রোহিঙ্গাদের অনেকেই। এসব কারণে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।
টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ইয়াবা, মানবপাচারসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা থেকে বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, রোহিঙ্গাদের হাতে রোহিঙ্গা খুন, রোহিঙ্গাদের হামলায় আহত ব্যক্তির মৃত্যুসহ দুই মাসে বেশকিছু অপরাধের ঘটনা ঘটিয়েছে রোহিঙ্গারা। দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবাসহ রোহিঙ্গাদের ধরা পড়ার ঘটনাও প্রকাশ পেয়েছে।
এদিকে, রামুতে স্থানীয় এক যুবককে গলাকেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে এক রোহিঙ্গা হাফেজ। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আবদুল জব্বার (২৫)। তিনি রামুর খুনিয়াপালংয়ের কালুয়ারখালীর হেডম্যান বশির আহম্মদের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রোহিঙ্গা হাফেজ মোস্তফাকে আটক করা হয়েছে।
২৭ অক্টোবর রাত ১২ টায় বালুখালী রোহিঙ্গা বস্তিতে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপর গুলি বর্ষণের ঘটনায় ঘটেছে। এ ঘটনায় আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচ রোহিঙ্গা আটক করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে স্থানীয় ৫ জন বাসিন্দা। এ সময় রোহিঙ্গারা স্থানীয়দের উপর গুলিবর্ষণও করেছে দাবী করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নলকূপ স্থাপন করা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে রোহিঙ্গাদের বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে শুক্রবার রাতে এলাকায় ডাকাত পড়েছে বলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাইকে মাইকিং করে সংঘবদ্ধ ভাবে স্থানীয়দের উপর হামলা চালায় রোহিঙ্গারা।
২৩ অক্টোবর ছুরা খাতুন রশিদা নামে বয়স পঞ্চাশোর্ধ। রোহিঙ্গা ছুরা খাতুনকে মারধরও করেছেন স্ব-গোত্রীয় লোকজন। আহত রশিদা কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
গত ২১ অক্টোবর টেকনাফে রোহিঙ্গা নারীর হামলায় পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই)কবির আহমদ (৪০) আহত হয়েছেন। তিনি নয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা নারী দিল বাহার ও তার স্বামী সৈয়দ আহমদসহ ৩ জনকে আটক করেছে।
টেকনাফের হ্নীলায় রোহিঙ্গা যুবকের চুরিকাঘাতে মৃত্যু বরণ করেন এক ব্যাক্তি। ১৯ অক্টোবর রাত ১০টারদিকে লেদা টাওয়ার সংলগ্ন মৌলভী পাড়ায় ইউছুপ আলীর বাড়ির সামনে আবু ছিদ্দিককে চুরিকাঘাত করার ঘটনা ঘটে। সে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব লেদার মৃত কালা চাঁনের পুত্র। ২১অক্টোবর ভোর পৌনে ৬টারদিকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন আহত আবু ছিদ্দিক। ১৮ অক্টোবর বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের রেজু সীমান্ত থেকে নূর আহাম্মদ (২৭) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ৭ অক্টোবর কুতুপালংয়ের রোহিঙ্গা ক্যাম্প লাগোয় খাল থেকে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ৮ অক্টোবর কুতুপালংয়ে ত্রাণের টোকেন বিতরণ করতে গিয়ে মুক্তি নামের এনজিওকর্মী রোহিঙ্গাদের হাত থেকে বাঁচতে গাছে উঠে পড়েন।
১৬ সেপ্টেম্বর কুতুপালং এলাকায় রোহিঙ্গাদের হামলায় রোহিঙ্গা খুন হয়। ১৭ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গাদের হামলায় উখিয়ার পালংখালী এলাকার মুরগির খামারি জমির উদ্দিন আহত হন।
দিন দিন আত্মঘাতি হয়ে উঠছে রোহিঙ্গারা। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাসরত রোহিঙ্গা শিবির গুলোতে একে অপরের সঙ্গে দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের অশ্লিল বাক্যে আশপাশের পরিবেশ নোংরা হয়ে উঠছে। এ অবস্থায় অনিরাপদ বসতি হয়ে উঠেছে শিশুদের জন্য। তাছাড়া যে কোন মুহুর্তে হানাহানি ও মারামারিতে লিপ্ত হয়ে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা রয়েছে। মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গারা ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। ৬৩ দিনে অন্তত ৪১ জনের কাছে পাওয়া গেছে ইয়াবা। প্রচুর পরিমাণে রোহিঙ্গা প্রবেশ করায় কক্সবাজারে অপরাধের মাত্রা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।
রোহিঙ্গারা ইতোমধ্যে দালাল চক্রের হাত ধরে জেলা ছাড়িয়েছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। তাদের সাথে যোগাযোগ হচ্ছে আগে থেকে বসবাসরত স্বজনদের। আর তাদের হাত ধরেই অনায়াসে অপরাধের সাথে যুক্ত হচ্ছে নবাগত রোহিঙ্গারা।
দলে দলে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করতে না করতেই উখিয়া-টেকনাফে রোহিঙ্গাদের আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। আন্দোলনের কর্মসূচির অংশ হিসাবে তাদের ২১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গারা দাবিসম্বলিত ডিজিটাল ব্যানার প্রকাশ করেছে। ‘আমাদের ২১ দফা মানতে হবে’ রোহিঙ্গা অধিকার প্রতিষ্ঠা কমিটি, প্রতিষ্ঠা ২৫ আগস্ট ২০১৭, আবেদনে সকল রোহিঙ্গা জনগণ শিরোনামে ২টি ছবি ও লোগো সম্বলিত প্রচারিত ব্যানারে বাংলা ও ইংরেজি দুই ভাষায় ২১ দফা উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ায় টেকনাফ-উখিয়ার সাবেক এমপি ও টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন ‘এসব ভাল লক্ষণ নয়।
এই রোহিঙ্গাদের পেছনে আর্ন্তজাতিক চক্রান্ত রয়েছে। মহলটি আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশকে তালেবান রাষ্ট্র বানাতে তৎপর। রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে আশ্রয় নিয়ে তাদের দাবি বাস্তবায়নে বড় বড় ডিজিটাল ব্যানার প্রচার করবে তা আমাদের জন্য দুঃখজনক।
একদিকে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে এ বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর চাপ পড়ার কারণে দেশের সামাজিক অর্থনৈতিকসহ নানা ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিমত রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির।
প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা প্রতিদিন নানা অপরাধ সংঘটিত করছে। আমাদের দেশের পরিবেশ ধ্বংস করে দিচ্ছে। ‘যেহেতু তাদের জন্য এদেশে বৈধ কোন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি হয়নি তাই তারা স্বাভাবিকভাবে অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়ছে’। খুব শীঘ্রই আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করতে যাচ্ছি। দেশের স্বার্থের জন্য সবকিছু করতে আমরা প্রস্তুত।
রোহিঙ্গা সংকটের চলমান ৬৩ দিনে অসংখ্য সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচার বা প্রকাশ করেছেন। বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, দুঃখ-দুর্দশা। তবে, একটি বারের জন্যও রোহিঙ্গাদের মুখে শুকরিয়া শব্দটি শুনতে পাওয়া যায়নি। অনেক সংবাদকর্মী হতাশ হয়েছেন রোহিঙ্গাদের আচরণে।
স্থানীয় সংবাদকর্মী আমান উল্লাহ আমান জানান, প্রথমদিন থেকে আমাকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গড়ে প্রতিদিন আসতে হয়। যার নাই শেষ পরিশ্রম করে তুলে এনেছি রোহিঙ্গাদের অজানা কথা। সহকর্মীদের সহায়তায় পৌঁছে দিয়েছি বিশ্বব্যাপি। তবে এই দীর্ঘদিনেও রোহিঙ্গাদের মুখে শুকরিয়া শব্দটি শুনতে পেলাম না।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাইন উদ্দিন বলেন, রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন অপরাধ সম্পর্কে আমরা যথেষ্ট সজাগ রয়েছি। ইতিমধ্যে অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছি। জনবল কম হওয়ায় কাজে একটু বেগ পেতে হচ্ছে।
উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান গফুর উদ্দীন চৌধুরী জানান, ‘রোহিঙ্গাদের ভারে উখিয়া টেকনাফ জর্জরিত হয়ে গেছে। তাদের জন্য স্থানীয়দের ঘর থেকে বের হওয়া দায় হয়ে গেছে। তারা নানা অপরাধ কর্মকাণ্ডও ঘটাচ্ছে। ফলে স্থানীয়রা চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।’
কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা জানান, কোথা থেকে রোহিঙ্গাদের কাছে অস্ত্র আসল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
জেলা পুলিশের মুখপাত্র কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে গিয়ে নিজেদের সুযোগ-সুবিধা বিসর্জন দিয়েছেন স্থানীয়রা। এরপরও যদি তাদের হামলার শিকার হতে হয়, সেটা অত্যন্ত দুঃখজনক। রোহিঙ্গারা বিভিন্ন ধরনের অপরাধ ঘটানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনী তাদেরকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। তারা যেন কোনও অপরাধ কর্মকাণ্ড ঘটাতে না পারে, সেজন্য পুলিশ কঠোর নজরদারি রেখেছে।’
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার ড. একে এম ইকবাল হোসেন বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অনাকাঙ্খিত ঘনটা গুলো দুঃখজনক। রোহিঙ্গারা নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে তা ক্রমশঃ দৃশ্যমান হচ্ছে। তার ওপর যদি আরও রোহিঙ্গা আসে তা হলে আইনশৃঙ্খলার আরও অবনতি ঘটবে।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, বাংলাদেশ সব সময় প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। তাই আমরা মনে করি মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের ভালো সম্পর্কই থাকবে। রোহিঙ্গাদের ইদানিং কর্মকান্ড ভাবিয়ে তুলছে প্রশাসনকে। আমারা রোহিঙ্গাদের সার্বিক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রাখছি। দেশের নিরাপত্তার বিষয়ে আমরা সর্বদা সর্তক।
স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ সালে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে শরণার্থী হিসেবে রোহিঙ্গারা এদেশে আসে। এর পর ১৯৭৮ ও ১৯৯১ সালে আসে ব্যাপক হারে। এর পর নানা সময়ে দফায় দফায় আসতে থাকে রোহিঙ্গারা। বর্তমানে ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে বাংলাদেশে।