এফ এম সুমন পেকুয়া (কক্সবাজার):

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার আসছেন আজ। তার সফরকে ঘিরে উজ্জীবিত নেতাকর্মীরা। ইতিমধ্যেই ব্যানার ফেষ্টুনে ভরে গেছে শহরের রাস্তাঘাট। নেত্রীর আগমনে কক্সবাজার জেলা বিএনপি হাতে নিয়েছেন ব্যাপক প্রস্তুতি। উৎসুখ নেতাকর্মীরা পেকুয়া, চকরিয়া, কুতুবদিয়া, রামু, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা সহ জেলার সবকটি উপজেলা থেকে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়েছেন মহাসড়কে দাড়িয়ে তাদের প্রিয় নেত্রীকে দেখার জন্য।

খালেদা জিয়া সর্বশেষ রামুর বৌদ্ধমন্দিরে হামলার ঘটনার পর কক্সবাজার এসেছিলেন। তার পর থেকে বিএনপির চেয়ারপার্সন আর কক্সবাজার আসেননি। তখন চট্টগ্রাম হয়ে সড়ক পথে কক্সবাজার এসেছিলেন। সেই দিন তিনি চকরিয়া বাস টার্মিনালে চকরিয়া পেকুয়ার মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছিলেন। তখন উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া পেকুয়ার গনমানুষের প্রিয় নেতা সাবেক মন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদ। খালেদা জিয়া আজ কক্সবাজার আসছেন । কিন্ত কক্সবাজারের বিএনপির কান্ডারী, যাকে মন্ত্রী বানিয়ে কক্সবাজারের মানুষকে সম্মানিত করেছিলেন খালেদা জিয়া তিনি আজ কক্সবাজার নেই। আজ নেতা কর্মীদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা থাকলে ও তাদের মাঝে যেন হতাশার চাপ। তাদের চোখে মুখে যেন কিছু হারানোর বেদনা। কক্সবাজার বিএনপির একাধিক নেতা মনে করেন সালাহউদ্দিনের  অভাব  আজকের দিনে অপুরনীয়। আবার কেউ কেউ মনে করেন আজকে সালাহউদ্দিন আহমেদ কে ছাড়া যেন তারা অসহায়।

যদিও সুত্র জানায়, দেশনেত্রীর কক্সবাজার সফর নিয়ে নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন ভারতের মেঘালয়ে অবস্থানরত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। এবিষয়ে প্রতিবেদক কথা বলেছেন কক্সবাজার জেলা বিএনপির একাধিক নেতাকর্মীর সাথে। কক্সবাজার জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, আজ দেশনেত্রী বেগম জিয়া কক্সবাজার আসছেন চারিদিকে উৎসবের আমেজ, কিন্ত কেন জানি একদিকে অন্ধকার অন্ধকার বলে মনে হচ্ছে । তা হল আজ এমন দিনে আমাদের নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ নেই। তাঁর অভাব যেন আমাদের বারবার নাড়া দিচ্ছে শুধু দলীয়ভাবে নয় আমি ব্যক্তিগতভাবে ও সালাউদ্দিন আহমেদকে আজকের দিনে খুব অনুভব করছি। তবে তাকে আমরা অনুসরন করছি প্রতিনিয়ত।

পেকুয়া উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোছাইন বলেন, আমাদের দলের সর্বোচ্চ নেতা কক্সবাজারে আসছেন এটা আমাদের জন্য আনন্দের। কিন্ত অত্যন্ত ভারাক্রান্ত আমরা এজন্য যে,আজ আমাদের প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ এখানে নেই । তার অভাব শুধু আমরা নয় পুরো দেশবাসি অনুভব করছেন বলে তিনি দাবী করেন।

পেকুয়া উপজেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরান জাদিদ মুকুট বলেন, আজকের দিনে প্রিয় নেতার অভাব আমরা খুবই অনুভব করছি। সালাহউদ্দিন ভাই বিহীন আমরা আজকের দিনটি কল্পনা করতে পারিনা। তবে দেশনেত্রীকে আমরা আজকের উপস্থিতির মাধ্যমে দেখিয়ে দিতে চাই আমরা সালাহদ্দিন ভাইকে কতটা অনুভব করি।

পেকুয়া উপজেলা মহিলাদলের সভানেত্রী সাবিনা ইয়াছমিন জিনু বলেন, আমরা কখনো স্বপ্নে ও কল্পনা করিনি দেশনেত্রীর পাশে কক্সবাজারে আমাদের গর্বের ধন সালাহউদ্দিন আহমেদ কে দেখা যাবেনা। আজ তার শূণ্যতা যেন আমাদের এতিম বানিয়ে দিয়েছে। সালাহউদ্দিন আহমেদকে আজকের দিনে দেশনেত্রীর পাশে খুবই প্রয়োজন বলে আমি মনে করি।

পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি এড. জাহেদ হোসেন বলেন, আজকের দিনে আমাদের প্রিয় নেতা আমাদের পাশে নেই তারপরও আমরা তাকে অনুভব করি আমাদের মনে প্রাণে তিনি আছেন মনে করে আমরা আজকে এখানে এসেছি। তবে সালাহউদ্দিন ভাই আছেন আমাদের হৃদয়ে। চকরিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি রিয়াদ বলেন, আমাদের প্রিয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ নেই সেটা আমরা নেত্রীকে বুঝতে দেবো না। আমাদের মাঝেই প্রিয় নেতা আছেন। তবে সালাহউদ্দিন ভাইকে ছাড়া আজকের দিনটি কখনোই কল্পনা করিনি। পেকুয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এম.জাহেদ হাছান বলেন, সালাহউদ্দিন ভাই ছাড়া আমরা সত্যিই ভাবিনি আজকে দেশনেত্রীকে বরণ করতে হবে। তারপরও অামরা তার নির্দেশে দেশনেত্রীকে বরণ করতে প্রস্তুত আছি। তবে আজকে সালাহউদ্দিন ভাইকে অবশ্যই প্রয়োজন ছিল। পেকুয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক নুরুল অবছার বলেন, উন্নয়নের রুপকার সালাউদ্দিন আহমেদকে আজকের দিনে খুবই প্রয়োজন তার অভাব শুধু আমরা নয় পুরো দেশবাসী অনুভব করেন। তবে তারা মনে করেন সালাহউদ্দিন আহমদ ভারতের সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে শিগগিরই দেশে ফিরে আসবেন।

উল্লেখ্য যে, বিএনপির চেয়ারপার্সন রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণের জন্য আজ ২৯ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত কক্সবাজার অবস্থান করবেন এবং উখিয়া, বালুখালী,পালংখালীসহ বিভিন্ন ক্যাম্পে ত্রাণ বিতরণ করার কথা রয়েছে।