আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রাখাইনের উত্তরাঞ্চলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত অঞ্চলে জাতিসংঘকে ত্রাণ দিতে দেয়ার সুযোগ দিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ। গত দুই মাস সেখানে ত্রাণ বিতরণ বন্ধ থাকার পর মিয়ানমার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছে বলে শুক্রবার বিশ্ব খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

২৫ আগস্টের পর থেকে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা শিশুরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ে মৃত্যুর দুয়ারে বলে জাতিসংঘ প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ধারণা করা হচ্ছে জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের প্রতিবেদনে এরকম চিত্র উঠে আসার পর এই ‘সবুজ সংকেত’ দিয়েছে মিয়ানমার সরকার।

সংঘাত শুরুর আগে উত্তর রাখাইনে এক লাখ ১০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দিতো বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। সে সময় বৌদ্ধ এবং মুসলিম রোহিঙ্গা নির্বিশেষে সবাইকে ত্রাণ দেয়া হতো।

এখন পর্যন্ত কেবল ত্রাণ তৎপরতা শুরু করার ‘সবুজ সংকেত’ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার মুখপাত্র বেটিনা ল্যুশার। শুক্রবার জেনেভায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানান, বিস্তারিত বিষয়ে এখনও মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে।

তিনি আরও বলেন, আগে আমাদের দেখতে হবে ওই এলাকার পরিস্থিতি ঠিক কী রকম। তার আগে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।

গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে হামলার জেরে রোহিঙ্গা নিধন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর ওই এলাকায় ত্রাণ দেয়া বন্ধ করে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার কর্মীরা।

তবে মধ্য রাখাইনে এক লাখ ৪০ হাজার মানুষকে ত্রাণ দিয়ে আসছে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা। ইউনিসেফের মুখপাত্র মারিক্সি মেরকাডো জানান, সেনা অভিযান শুরুর আগেই রাখাইনের বুথিডং ও মংডুতে রোহিঙ্গা শিশুদের মধ্যে অপুষ্টির হার বিপজ্জনক মাত্রায় ছিল।

তিনি আরও জানান, সেখানে চার হাজার শিশুকে মারাত্মক অপুষ্টির চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল। ২৫ অগাস্ট থেকে সেটা বন্ধ আছে। মিয়ানমার সরকার সবুজ সংকেত দিয়েছে; কার্যক্রম আবার শুরু হবে।

সূত্র : রয়টার্স