নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকায় দীর্ঘদিনের বসতি থেকে উচ্ছেদ করতে স্বশস্ত্র হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা। এতে কাসেম, লিটন ও আলম নামে ৩ শ্রমিক আহত হয়েছে। তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল ৩ টার দিকে কলাতলী পরমানু শক্তি কমিশনের পূর্ব পাশের টিএন্ডটি এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
কলাতলী এলাকার ফরিদুল আলম, গুরা মিয়া, জসিম উদ্দিন, হাছন আলী, বাবুল, শহরের বাহারছরা এলাকার ছাদেক হোছনের নেতৃত্বে ১০/১২ জনের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও দখলবাজ হামলার ঘটনায় জড়িত বলে জানান আহত শ্রমিক আলম।
তিনি বলেন, আমরা টিনের ঘেরাবেড়ার কাজ করছিলাম। অতর্কিতভাবে স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলে পড়ে। এতে আমার হাত ও মাথায় মারাত্বক আঘাতপ্রাপ্ত হই। তিনি আরো বলেন, স্বশস্ত্র সন্ত্রাসীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে হামলা চালায়। এ কারণে কেউ আত্নরক্ষায় পালাতে পারিনি। খবর পেয়ে থানার পুলিশ আমাদের উদ্ধার করে। ইতোমধ্যে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন জমির মালিক জাহেদা বেগম

এদিকে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জানাতে সংবাদ সম্মেলন করে জমির মালিক জাহেদা বেগম। শুক্রবার সন্ধ্যায় কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৯৯৮ সাল থেকে আমাদের দখলীয় ৪০ শতক জমিতে টিনের ছাউনিযুক্ত ভাড়া বাসা এবং কিছু অংশ ৩ তলা ফাউন্ডেশনের দালান নির্মানাধীন আছে। জমির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দখলবাজরা মরিয়া হয়ে ওঠে। গত ২০ জুলাই হামলা করে সন্ত্রাসীরা। সর্বশেষ শুক্রবারও হামলা চালানো হয়। জাহেদা বেগম চকরিয়া উপজেলার খুটাখালীর প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা সোলতান আহমদ কোম্পানীর স্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ৮ অক্টোবর থেকে প্রায় প্রতিদিন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও দখলবাজরা আমার কাছ থেকে চাঁদা দাবী করে আসছিল। তাদের দাবী মতে, ৫ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে কাজ করতে দেবেনা, প্রাণে মেরে ফেলবে, বাঁশ দিয়ে আমাকে আকাশে শুকিয়ে দেবে ইত্যাদি হুমকী ধমকি দেয়।