অনলাইন ডেস্ক :
ব্যবসায়ীকে অপহরণের পর আদায় করা মুক্তিপণের টাকাসহ ডিবি পুলিশের সাত সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। এই খবর ছিলো বুধবার টক অব দ্যা কান্ট্রি।টেকনাফের সাবরাং ত্রাণকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা মেজর নাজিম আহমেদের নেতৃত্বে ডিবির ওই দলটিকে আটক করা হয়। এমন কৃতিত্ব দেখানোয় প্রসংশার জোয়ারে ভাসছেন মেজর নাজিম আহমেদ। পুরো ফেসবুক জুড়ে এখন তার ছবির ছড়াছড়ি।

মেজর নাজিমের প্রশংসা করে রাশেদ খান নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন- “বিগত কয়েক বছর ধরে জাতীয় বীর বলতে আমরা বুঝি “ক্রিকেট খেলোয়াড়”,তাই ক্রিকেট দলের কোন খেলোড়ার যদি ভালো খেলে, তখন সেই প্লেয়ার হয়ে যায় জাতীয় বীর। দল-মতের উর্ধে উঠে সেই প্লেয়ার’কে নিয়ে শুরু হয় উন্মাদনা।অনেকদিন ধরে একজন সাঁচ্চা জাতীয় বীর খুজছিলো এই দেশের মানুষ। যিনি সাহস করে সমাজের চরম বিশৃঙ্খলা কে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবেন।যিনি সমাজের অচল অবস্থা কে চোখ রাঙ্গানী দেবেন। আজকে দেশে চা দোকানদার থেকে শুরু করে কর্পোরেট অফিসের উচু তলার বড় কর্তা পর্যন্ত গর্বের সাথে বলছে। আমাদের দেশে একজন মেজর নাজিম আহমেদ আছেন। যিনি দেয়াল চিত্রের সেই সুবোধের প্রতিচ্ছবি,যিনি ঘুরে দাঁড়িয়ে বলতে পারেন। সুবোধ পালিয়ে যায়-নি, সুবোধ ফিরে এসেছে।”

আল আমিন নামে একজন লিখেছেন- একজন মেজর নাজিম আহম্মেদের অভাবে প্রসাশনের এরকম হাজার হাজার ক্রাইম ধামাছাপা পড়ে যায়।”কদরুদ্দিন শিশির নামে একজন লিখেছেন- “যদি ৬৪ জেলায় একরাতের জন্য সেনা টহল বসানো হতো, তা‌ইলে কত্ত ইলিশ যে ধরা পড়তো!”

জেরিন খান নামে একজন লিখেছেন- “জাতির গর্বিত সৈনিক “মেজর নাজিম” স্যার এর সর্বক্ষণ খোঁজ-খবর রাখা তাঁর পরিবার এবং জাতির দায়িত্ব। যেকোন সময় সরকার ক্যান্সারের রোগী বানিয়ে দিয়ে বিদেশে সাপ্লাই দিতে পারে। “মেজর নাজিম” স্যারদের মত সেনাবাহিনী আছে বলেই জাতি আজও আশা হারায়নি। স্যালুট বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।”

উল্লেখ্য, বুধবার ভোর ৪টার দিকে ডিবির এসব সদস্যকে মেরিন ড্রাইভ সড়কের শাপলাপুর এলাকা থেকে আটক করেন সেনা সদস্যরা। এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবির) দুই উপ-পরিদর্শক (এসআই), তিন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও দু’কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ডিবির দলটিকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে মেজর নাজিম আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, আবদুল গফুরকে গতকাল মঙ্গলবার সকালে অপহরণ করে ডিবির একটি দল। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। কিন্তু দর-কষাকষির পর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা পাওয়ার পর তাঁকে ভোররাতে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ছেড়ে দেওয়া।

এরপর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকার লম্বরী সেনাবাহিনীর তল্লাশিচৌকিতে ডিবির গাড়িটি সংকেত দিয়ে থামানো হয়। এ সময় মনিরুজ্জামান নামের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) পালিয়ে যান। সাতজনকে আটক করা হয়। গাড়ি থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ভোররাতেই তাঁদের সাবরাং সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।

মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, ‘জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে এসে আলোচনার মাধ্যমে আটক কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাদের জানান তাঁরা। তবে উদ্ধার করা টাকা আমাদের হাতেই রয়েছে।’

ahramBD