মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আজাদ, ঈদগাঁও :

কক্সবাজার সদর উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের শিয়াপাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শালিসী বৈঠকে সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত পিতা-পুত্রসহ ৭ জন এখনো সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সপ্তাহ পার হলেও তাদের অবস্থা এখনো শংকামুক্ত নয় বলে স্থানীয় সূত্রে প্রকাশ। গত ১৮ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে ইসলামপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার ইদ্রিছের শালিসী বৈঠকে প্রতিনিধি হিসাবে যোগ দেয় একই এলাকার আলতাজ হোসেনসহ অপরাপর লোকজন। বৈঠকের শেষের দিকে এক পর্যায়ে নুরুল কবিরের নেতৃত্বে একদল একদল সন্ত্রাসী শালিসী বৈঠকে আগত লোকজনকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করতে থাকে। আলতাজ প্রতিবাদ করায় ছুরি দিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করলে পাশে থাকা নুরুল কবিরের এক আত্মীয় বাচ্চুর গায়ে লেগে যায় ঐ ছুরি। এতে বাচ্চু আহত হলে পুরো ঘটনাটি উল্টো হয়ে যায়। মেম্বার ও তার আত্মীয় স্বজনরা একযোগে আলতাজ ও তার আত্মীয় স্বজনদের উপর দা-ও লোহার অস্ত্র হামলা চালায়। এতে আলতাজ তার দু-পুত্র ইমরান (১৮) ও ইনজামামের মাথায় দায়ের আঘাত লাগে। এছাড়া বাবু (১৪) ও নুরুসহ ঘটনাস্থলে ৭জন আহত হয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। খবর পেয়ে বিষয়টি সুরাহা করতে ইউপি চেয়ারম্যান দুপক্ষের সাথে যোগাযোগ করেন। এক পর্যায়ে মামলা মোকদ্দমা ছাড়াই ঘটনাটি নিষ্পত্তি করতে দু’পক্ষের অঙ্গিকার নামাও নেয়। ঘটনাস্থলে আলতাজ হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইল, টাকা ও লুট করে নিয়ে যায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। উল্লেখ্য, বর্ণিত এলাকার আবদু ছালামের পুত্র আমির সুলতান সৌদি আরবে বোরকার দোকান দিয়ে ব্যবসা করে আসলে তাকে মাসিক চাকুরী নেয় ঐ এলাকার সৌদি ফেরত বাচ্চুসহ একাধিক লোকজন। সম্প্রতি সৌদি বাজারে বাংলাদেশীদের অবস্থা নাজুক হলে আমির সুলতানের বোরকার কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। এতে মোটা অংকের টাকা লোকসান গুনতে হয় আমির সুলতানকে। এরই ফাঁকে বাচ্চুসহ অন্য লোকজন দেশে ফিরে তার পিতা আবদু ছালামের কাছ থেকে টাকা দাবী করে। ইউনিয়ন পরিষদে ৭ লক্ষ টাকার একটি বিচারে ১ লক্ষ টাকা জমা করতে বলে আবদু ছালামকে। জনপ্রতিনিধির কথামত কিছু টাকা জমা করার খবরটি বাচ্চুসহ তার আত্মীয় মেম্বারের কাছে পৌছলে আবদু ছালামকে টানা হেচড়া করে বাচ্চু। অথচ আবদু ছালাম বাচ্চুকে ইতিপূর্বে কয়েক হাজার টাকাও দিয়ে দেয়। পুরো টাকা না দেওয়ায় তাকে টানা হেচড়া করায় ২য় বার মেম্বারের কাছে আবারো বিচার দাবী করে আবদু ছালামের আত্মীয় আলতাজ হোসেন। গত ১৮ অক্টোবর শালিসী বৈঠকের এক পর্যায়ে যখন বিষয়টি নিষ্পত্তির পর্যায়ে চলে যায় ঠিক সে মুহুর্তে ৩য় পক্ষ নুরুল কবিরের নেতৃত্বে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সচেতন মহলের দাবী, ছোট একটি ঘটনায় সন্ত্রাসী কায়দায় একই পরিবারের পিতাপুত্রের আহতের ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত না করে সুষ্ঠু সমাধানের। অন্যথায় বিষয়টি অনেকদুর গড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। সংঘঠিত ঘটনা সম্পর্কে ইউপি চেয়ারম্যানের নিকট জানতে চাইলে মোবাইল সংযোগ না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে আহতরা এখনো হাসপাতালে রয়েছে।