# কক্সবাজার সদরে কাল থেকে ছবিসহ নিবন্ধন শুরু
# খচড়া তালিকা ১ জানুয়ারী
# আপিল ২ থেকে ১৫ জানুয়ারী
# চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ৩১ জানুয়ারী
ইমাম খাইর, সিবিএন:
কক্সবাজার জেলায় ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ বাছাইয়ে ৭ হাজার ১২৫টি আবেদন বাতিল করেছে বিশেষ কমিটি। তথ্যগত ভুল, সঠিক ডকুমেন্ট জমা না করা, অসম্পূর্ণ আবেদন ইত্যাদি কারণে এসব আবেদন বাতিল হয়। আগামী ১ জানুয়ারী খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। বাতিল আবেদনের আপলি গ্রহণ ২ থেকে ১৫ জানুয়ারী। ১৬ থেকে ৩০ জানুয়ারীর মধ্যে আপিল নিষ্পত্তি করবে সংশ্লিষ্ট উপজেলার বিশেষ কমিটি। ৩১ জানুয়ারী চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে জেলা নির্বাচন অফিস।
২৫ জুলাই থেকে সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারেও ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম চলে। ৯ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য নেয় নিয়োজিত কর্মীরা। এ সময়ে জেলায় ভোটার নিবন্ধনের মোট আবেদন জমা পড়ে ৫৭ হাজার ৪২৭ জনের। সেখান থেকে গ্রহণ করা হয় ৫০ হাজার ৩০২টি। -জেলা নির্বাচন অফিসের তথ্য।
তিনটি ধাপে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকার কাজ শুরু হয় ২০ আগস্ট থেকে। ইতোমধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলা বাদে বাকী ৭ উপজেলায় ছবি তোলার কাজ শেষ হয়েছে। ২৬ অক্টোবর সদরের ইসলামপুর ইউনিয়নে ছবিসহ ভোটার নিবন্ধনের কার্যক্রম শুরু হবে। ২৭ অক্টোবর ইসলামাবাদ, ২৮ অক্টোবর ঈদগাঁও, ২৯ অক্টোবর জালালাবাদ, ৩০ অক্টোবর পোকখালী, ৩১ অক্টোবর ভারুয়াখালী, ১ নভেম্বর পিএমখালী, ২ নভেম্বর চৌফলদন্ডি, ৩ নভেম্বর খুরুশকুল, ৪ নভেম্বর ঝিলংজা, ৫ নভেম্বর কক্সবাজার পৌরসভার ১-৫ নং ওয়ার্ড, ৬ নভেম্বর ৬-১০ নং ওয়ার্ড এবং ৭ নভেম্বর ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ডে ছবি তোলা হবে। প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।
ঈদগাঁও এবং জালালাবাদ ইউপির নিবন্ধন কাজ ঈদগাঁও উচ্চবিদ্যালয়ে চলবে। বাকী ইউনিয়গুলোর নিবন্ধন কাজ সংশ্লিষ্ট পরিষদে করা হবে। পৌরসভার নিবন্ধন কাজ করা হবে সৈকত বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন ও নিবন্ধন কর্মকর্তা শিমুল শর্মা কক্সবাজার নিউজ ডট কম (সিবিএন)কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তিনি নিবন্ধন কার্যক্রম সুষ্ঠ, সুন্দর ও সুচারুভাবে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা/ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, চৌকিদার ও দফদারদের রেজিস্ট্রেশন সেন্টারে উপস্থিত থেকে সার্বিক সহায়তা করতে অনুরোধ করেছেন।
জেলা নির্বাচন অফিসের ১৭ অক্টোবর আপডেট তথ্য মতে, চকরিয়া উপজেলায় নতুন ভোটার নিবন্ধনের আবেদন পড়ে ১২ হাজার ৬৬টি। সেখান থেকে বিশেষ কমিটির সিদ্ধান্তে গ্রহণ করা হয় ১১ হাজার ৮৩৩টি। বাতিল হয় ২৩৩টি আবেদন। একইভাবে টেকনাফে ৫ হাজার ৮৪৭ টি আবেদনের মধ্য থেকে গ্রহণ হয় ৫ হাজার ৩১৩, বাতিল হয় ৬৩৪টি। রামুতে ৬ হাজার ৯০২ আবেদনের অনুকূলে গ্রহণ হয় ৪ হাজার ৮৩২টি। বাতিল হয় ২ হাজার ৭০টি আবেদন। পেকুয়াতে মোট ৪ হাজার ৬০০ আবেদন পড়ে। বাছাই পর্বে ৪ হাজার ২৬১ জনের আবেদন টিকে। বাতিল করা হয় ৩৩৯টি। উখিয়ায় ৫ হাজার ৫৮টি আবেদন পড়ে। গ্রহণ করা হয় ৪ হাজার ৬৭৮টি। বাতিল হয় ৩৮০ জনের আবেদন। মহেশখালী উপজেলায় ৮ হাজার ২৫৬ জনের আবেদন পড়ে। ওখান থেকে গ্রহণ হয় ৬ হাজার ৬৬৫টি। বাতিল করা হয় ১ হাজার ৫৯২টি। কুতুবদিয়াতে ৩ হাজার ৫২৪ টি নতুন ভোটার নিবন্ধন আবেদনের অনুকূলে গ্রহণ করা হয় ৩ হাজার ২০১টি, বাতিল হয় ৩২৩ টি আবেদন। এসব উপজেলার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।
কক্সবাজার জেলায় বিদ্যমান ভোটার সংখ্যা ১৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৩৯ জন। সেখানে পুরুষ ৬ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৩ এবং মহিলা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৯১৬ জন। আগের ভোটারের সঙ্গে হালনাগাদ হতে যাওয়া নতুন ভোটার যুক্ত হবে। মোট ভোটারের সাড়ে ৩ ভাগ নতুন ছবিযুক্ত ভোটার তালিকায় স্থান পাবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন সিবিএনকে জানান, ১ জানুয়ারী ২০০০ বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারী এবং ইতোপূর্বে যারা হালনাগাদে বাদ পড়েছেন, তাদের ভোটার তালিকাভুক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ১৯৭২ সালের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল বা ১৯৭৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দন্ডিত ব্যক্তি ভোটার তালিকা থেকে বাদ গেছে।
তিনি জানান, বিদ্যমান ভোটার তালিকায় কোন রোহিঙ্গা পাওয়া গেলে প্রমাণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট উপজেলার বিশেষ কমিটির সিদ্ধান্তে তা বাতিল করা হবে। রোহিঙ্গাদের ভোটার হওয়া ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে নির্বাচন কমিশন।