বাংলানিউজ :রোহিঙ্গাদের এদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার পর এখন শোনা যাচ্ছে মিয়ানমার দাবি করছে বাংলাদেশের কক্সবাজারও নাকি তাদের। কিন্তু আমরা বলতে চাই- তারা যদি এপার দাবি করে, তাহলে আমরাও দাবি করতে পারি রাখাইন রাজ্যও আমাদের। আমি কোনো কথার কথা বলছি না। ঐতিহাসিকভাবেই বলছি। দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে তো সেই দাবি করতেই পারি।

দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সংকট, বাস্তবতা ও পরিকল্পনা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় কক্সবাজার সদর আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এ কথা বলেন।

সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেলে কক্সবাজারের সায়মন বিচ রিসোর্টের সম্মেলন কক্ষে এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

বাংলানিউজের এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেনের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম ব্যুরো এডিটর তপন চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

তিনি বলেন, এতো রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এলো কিন্তু একটা মানুষও খাদ্যের অভাবে মারা যায়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা যায়নি। সেটা সফলতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের দেখতে গিয়েই বলেছেন, ১৬ কোটি মানুষকে যদি খাওয়াতে পারি, তাহলে আরও ৫-৬ লাখ লোককেও আমরা খাওয়াতে পারবো। এটা অনেক বড় কথা। অনেক সাহসের কথা।

কমল বলেন, বিশ্ব দরবার রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আমাদের পাশে আছে। শুধু কয়েকটি দেশ এখনও মিয়ানমারের পক্ষে কথা বলছে। কথা বলছে কারণ আছে- কারণ মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের স্বার্থ জড়িত।

তিনি বাংলাদেশের উদাহরণ দিয়ে বলেন, জঙ্গিবাদ আমাদের দেশে উত্থান হয়েছিল। আমরা সেটি দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করেছি। কিন্তু মিয়ানমার বলেছে জঙ্গি থামাতে এটা তাদের উদ্যোগ। আমার কথা হলো জঙ্গিবাদের নামে কি লাখ লাখ লোককে নিপীড়ন করা যায়, হত্যা করা যায়।

‘রোহিঙ্গাদের ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি এই গণহত্যার বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে। শুধু জাতিসংঘে গিয়ে তাদের ফেরাতে দাবি তুলবো তা হয় না। আমাদের কাজ আমাদের চালিয়ে যেতে হবে।’ -বলেন সাইমুম সরওয়ার কমল।সোহেল সরওয়ার

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি দাবির পেছনে ভাষার মিল অজুহাত দেখাচ্ছে জানিয়ে এই সংসদ সদস্য বলেন, তারা বলছে রোহিঙ্গাদের ভাষা বাংলা। তারা তাই বাংলাদেশি। কিন্তু আমি বলতে চাচ্ছি রোহিঙ্গাদের ভাষার সঙ্গে বাংলার মিল মাত্র ৩০ শতাংশ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা আসায় অনেক সমস্যা হচ্ছে জানি। কিন্তু মানুষ বড় না পরিবেশ বড়, মানুষ বড় না পর্যটন বড়, মানুষ বড় না রাজনীতি বড়। এই মানুষের কথা ভেবেছেন বলেই তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক সমস্যা হবে জেনেও রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন।

‘মিয়ানমার আমাদের ওপর ১০ লাখ লোকের বোঝা তুলে দিলো। তাই তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব নয়। প্রয়োজনে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’