নুসরাত পাইরিন,কক্সবাজার :

কক্সবাজার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শকালে রোহিঙ্গাদের মুখ থেকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেও হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের কথা শুনে মর্মাহত জর্ডানের রাণী রানিয়া আল আব্দুল্লাহ। এসময় বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে যে মানবিকতা দেখিয়েছে,তারও প্রশংসা করেন রাণী রানিয়া।এমনকি রোহিঙ্গাদের ওপর মিয়ানমার সেনাবাহিনী নির্মম নির্যাতনের নিন্দাও জানান তিনি সোমবার ২৩ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন জর্ডানের রানি।এসময় তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য তৈরি করা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচআরের স্কুল ঘুরে দেখেন,রোহিঙ্গা শিশুদের খোঁজখবর নেে ও তাদের সঙ্গে কথা বলেন।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শনের সময় রানির সঙ্গে পরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম,নারী ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী চুমকি,সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল,ও সাংসদ আশেকুল্লাহ রফিকসহ কক্সবাজার জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পরিদর্শন শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে জর্ডানের রানি বলেন,শুধু মানবতা নয়,ন্যায়বিচারের স্বার্থে বিশ^বাসীকে রোহিঙ্গাদের পাশে দাড়াঁতে হবে।বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদেও আশ্রয় দিয়ে,তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে।রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যে মানবিকতা দেখিয়েছে,তার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ।রোহিঙ্গা ইস্যুতে জর্ডান ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে বলে জানান রানি রানিয়া।রানি রানিয়া আবদুল্লাহ বলেন,মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর চলা হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের কথা রোহিঙ্গাদেও সঙ্গে যেটা হয়েছে,সেটা জাতিগত নিধন।জর্ডান সরকার মিয়ানমারের এমন হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানায়।এছাড়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনকালে এখানে অবস্থানরত ৬০ হাজার শিশু ও ৪০ হাজার গর্ভবতী নারী এবং বৃদ্ধাদের প্রতি সুদৃষ্টি রাখতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।এর আগে বেলা ১১টা ৯মিনিটে বিশেষ বিমানে কক্সবাজার বিমানবন্দওে পোঁছান।এর পর বেলা ১২টা ৩৫ মিনিটে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পোঁছান জর্ডানের রানি রানিয়া আল আবদুল্লাহ।তিনি কুতুপালং ক্যাম্পে পোঁছে আশ্রংয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশুদের অবস্থা দেখেন এবং জাতিসংঘের একাধিক সংস্থাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্টানের ত্রাণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।