বিদেশ ডেস্ক:
যখন জাতিসংঘসহ বিশ্বের বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত জাতিগত নিধন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী করছে, বিশ্বজুড়ে যখন শুভবোধ সম্পন্ন মানুষেরা সোচ্চার হয়েছে এর বিরুদ্ধে তখনও ওই নিধনযজ্ঞের হোতা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ করেনি ইসরায়েল। তাদের এই অবস্থানের কারণে বিক্ষোভ করতে যাচ্ছে ইসরায়েলের মানবাধিকার কর্মীরা। সোমবার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

২৫ আগস্ট মিয়ানমারে রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর সামরিক বাহিনী রোহিঙ্গাদের উপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু করে। এই হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় ছয় লাখ রোহিঙ্গা। এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে উল্লেখ করেছে জাতিসংঘ। এরপর সারাবিশ্বের তোপের মুখে পড়ে মিয়ানমার। তবে দেশটির সামরিক সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যহত রাখে ইসরায়েল। বিস্তারিত জানা না গেলেও জানা যায়, মিয়ানমার সেনাবাহিনীর কাছে টহলনৌকা, বন্দুক ও নজরদারির সরঞ্জাম বিক্রি করেছে তারা। এছাড়া মিয়ানমারের বিশেষ বাহিনীকে প্রশিক্ষণও দিচ্ছে ইসরায়েল।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের সামরিক সরকার রোহিঙ্গাদের উপর নিধনযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের ‍উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা জারি করার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ। এরপরও তাদের কাছে অস্ত্র বিক্রি অব্যহত রেখেছে ইসরায়েল। মিয়ানমার ছাড়াও ইসরায়েলি অস্ত্র ফার্মগুলো দক্ষিণ সুদানের জঙ্গিদেরও অস্ত্র বিক্রি করে বলে জানা গেছে। ২০১৩ সাল থেকেই দেশটি গৃহযুদ্ধে জর্জরিত। এখন পর্যন্ত মারা গেছেন প্রায় ৩ লাখ মানুষ।
আল জাজিরা জানিয়েছে, মিয়ানমারকে অস্ত্র সরবরাহের প্রতিবাদে মানবাধিকার সংস্থাগুলো আগামী ৩০ অক্টোবর ইসরায়েলের পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ করবে।