২০ অক্টোবর কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে প্রকাশিত চৌফলদন্ডী থেকে ২ চোর আটক শীর্ষক সংবাদের একাংশের প্রতিবাদ জানিয়েছে আটককৃত নুরুল আবছারের মা।উল্লেখিত সংবাদের একটি অংশ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে যা সম্পুর্ন সাজানো, শাক দিয়ে মাছ ঢাকার অপচেষ্টা মাত্র। যাকে বলা হয় উধোর পিন্ডি বুঁধোর ঘাড়ে তুলে দেওয়া। মুল ঘটনা হচ্ছে আমার ছেলের সাথে মামলার বাদী ক্ষতিগ্রস্থ বাড়ির মালিক মামুন ও আটককৃত চোর ইসমাইলের সাথে পুর্বশত্রুতার জের ছিল।ঘটনার সময় রাতে আমার ছেলে বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল। এলাকাবাসীর শোর চিৎকারে আমার ছেলে আবছারও অন্যন্যাজনের মত ঘর থেকে বের হয়। ঐ রাতে জড়িত কাউকে ধরতে না পারলেও পরদিন সকালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতায় সন্দেহভাজন হিসাবে ইসমাইলকে আটক করে। পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তি মতে আবদুল করিম নামের এক আত্বীয়ের বাড়ি থেকে চোরাইকৃত আংশিক মালামাল উদ্ধার করে স্থানীয় চেয়ারম্যান। এসময় তাকে পরিষদে নিয়ে গিয়ে ব্যাপক জিঙ্গাসাবাদ করা হয়। পুর্বশত্রুতার জের ধরে বাদী মামুন ইসমাইলকে মামলা থেকে বাদ ও পুলিশে দেবে না মর্মে অভয় দিয়ে আর কে কে জড়িত আছে নাম বলতে বলেন এক পর্যায়ে সে তার দীর্ঘদিনের শত্রু হিসাবে আবছারের নামও বলে দেয়।পরে চেয়ারম্যান চৌকিদার দফাদার নিয়ে আমার নিজ বাড়ীতে তাকে ধরতে আসে। বাড়ি ঘেরাও করে রেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ পৌছে আমার বাড়ি থেকে ছেলে আবছারকে ধরে নিয়ে যায়।পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রেও ব্যাপক জিঙ্গাসাবাদ করা হয় এসময় তার কোন সংশ্লিষ্ট পায়নি। শুধুমাত্র পূর্বশত্রুতার জের ধরে আমার নিরাপরাদ ছেলেকে চোর বানিয়ে আদালতে প্রেরন করেছে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কোন থানা, আদালত বা স্থানীয় পরিষদে একটি মামলা তো দুরের কথা সাধারন ডাইরী পর্যন্ত নেই।প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে আমার ছেলেকে কারাগারে পাঠিয়ে। আমার নিরাপরাদ ছেলের মুক্তিদাবী করছি। পাশাপাশি প্রকাশিত সংবাদে কাউকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

প্রতিবাদকারী নুরুল আবছারের মা
জিনুআরা বেগম
স্বাম- ছৈয়দ হোসেন
সাং কোনা পাড়া, ৪ নং ওয়ার্ড চৌফলদন্ডী,সদর কক্সবাজার।