চকরিয়া প্রতিনিধি:

চকরিয়া উপজেলা হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভায় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেছেন; বর্তমান সরকার স্বাস্থ্য বান্ধব সরকার, সরকার দেশের প্রতিটি জনগনের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। জনগন যাতে সঠিকভাবে স্বাস্থ্য সেবা পায় সেইজন্য সরকার গ্রামে গ্রামে চিকিৎসা সেবা পৌঁেছ দিচ্ছে। চকরিয়া উপজেলা আটারটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত বড় উপজেলা। সাথে যুক্ত হয়েছে পাশের বান্দরবানের লামা, আলীকদম উপজেলা ও কক্সবাজারের পেকুয়া, কুতুবদিয়া, মহেশখালী উপজেলা। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ার কারনে প্রতিদিন এসব উপজেলা থেকেও অনেক রোগী চকরিয়া হাসপাতালে এসেই চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকে। এসব কারণে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে রোগির অত্যধিক চাপ রয়েছে। তিনি বলেন, রোগী বাড়লেও ৫০ শয্যার এই হাসপাতালে এতো রোগির সেবাপ্রদান দূরূহ হয়ে উঠেছে। এ অব¯’া থেকে উত্তরনের জন্য চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালকে একশত শয্যায় উন্নীত করণের দাবী দীর্ঘদিনের। আমরা এই গণদাবী বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছি।

হাজি ইলিয়াছ এমপি বলেন, চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালকে ৫০ শয্যা থেকে ১শত শয্যায় উন্নীত হবে। নতুন ভবন নির্মাণ, চিকিৎসক-কর্মচারীদের বাস ভবণ নির্মাণ, পুরাতন ভবনগুলো সংস্কার, ড্রেইনেজ ব্যবস্থা সংস্কারসহ এ হাসপাতালের আরও বেশ কিছু উন্নয়ন মূলক কর্মকা-ের জন্য প্রায় ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন নুতন কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করা, পুরাতনগুলো সংস্কারসহ নানা পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। বুধবার ১৮ অক্টোবর দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হল রুমে ব্যবস্থাপনা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ শাহবাজ, ডাঃ মুজিবুল হক, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডাঃ শোভন দত্ত, চকরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আবছার, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাজী বশিরুল আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহসভাপতি সরওয়ার আলম, জাতীয় পার্টির উপজেলা সভাপতি আনোয়ারুল এহেছান বুলু, চকরিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি আবদুল মজিদ, সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান আজিমুল হক, এনজিও প্রতিনিধি মোঃ নোমান, পৌর প্যানেল মেয়র মোঃ আইয়ুব, ডাঃ খায়রুল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ প্রকৌশল অধিদপ্তর কক্সবাজারের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ মোর্শেদুল আলম আগামী এক বছরের মধ্যে প্রায় ২৮ কোটি টাকার এই উন্নয়ন প্রকল্পটির কাজ শেষ করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এমপি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ আরও বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বর্তমান সরকার বড় মানবিকতার পরিচয় দিয়েছে। কিন্ত যে হারে রোহিঙ্গারা আমাদের দেশে ঢুকে যাচ্ছে তা উদ্বেগ জনক। এখানে যারা এসেছে তারা পর্যাপ্ত ত্রাণ, চিকিৎসা সেবাসহ নানা সুবিধা পেয়েছে। অনেকের এক বছরের খাদ্য মজুদ হয়ে গেছে, অনেক আরামে আছে। এ খবরে আরও নতুন করে রোহিঙ্গা এদেশে ঢুকে পড়ছে। কক্সবাজারে আমাদের জনসংখ্যার চেয়ে রোহিঙ্গারা সংখ্যায় বেশী হয়ে যাচ্ছে। তা ছাড়া তারা নানা অপরাধে জড়াতে পারে, সেজন্য আমাদের সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তাদেরকে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য আমাদের সরকার কুটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যা”েছ। এ ক্ষত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেও মিয়ানমারের উপর আরও বেশী চাপ সৃষ্টি করতে হবে।