চ্যানেল আই অনলাইন :   আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আওয়ামী লীগ যে নিদের্শনা দেবে সে অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) কাজ করবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।

চলমান রাজনৈতিক দল গুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপের অংশ হিসেবে বুধবার আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসে সূচনা বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কথা বলেন। সংলাপের শুরুতে দেয়া বক্তব্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংগ্রামের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংপৃক্ততার ইতিহাসও তুলে ধরেন তিনি।

সিইসি বলেন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব দেশ আজ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। অতীতেও আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেশের অধিকাংশ সফল্য অর্জিত হয়েছে।

বর্তমান সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন আগের যেকোনো সময়ের থেকে বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এসময় তিনি নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন স্বাধীনতার কথা তুলে ধরে বলেন: নির্বাচন কমিশনের এখন যে সমস্ত আইন তার অধিকাংশই এসেছে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে।

এছাড়া তিনি ৬৯’র গণ অভ্যুত্থান, ৭০’র নির্বাচন, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত বাঙালির সকল অর্জনে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগের ভূমিকার স্মরণ করেন সিইসি।

ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে সংলাপে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলে রয়েছেন: আমির হোসেন আমু এমপি, তোফায়েল আহমেদ এমপি, মতিয়া চৌধুরী এমপি, শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, মোহাম্মদ নাসিম এমপি, এইচ টি ইমাম, ড. মসিউর রহমান, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি, রমেশ চন্দ্র সেন এমপি, অ্যাম্বাসেডর জমির, মো. রশিদুল আলম. মাহবুবউল-আলম হানিফ এমপি, ডা. দীপু মণি এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, আব্দুর রহমান এমপি, এইচ এন আশিকুর রহমান এমপি, ড. হাছান মাহমুদ এমপি, ড. আব্দুস সোবহান গোলাপ ও অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবির কাওছার।

স্ত্রীর অসুস্থার কারণে দলটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম দেশের বাইরে থাকায় তিনি অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।

গত ৩১ জুলাই সুশীল সমাজের সঙ্গে বসার মধ্যদিয়ে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন। এরপর, ১৬ ও ১৭ আগস্ট নির্বাচন কমিশন আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানায় গণমাধ্যমের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের। সবশেষ ২৪ আগস্ট রাজনৈতিক দল গুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করে নির্বাচন কমিশন।