ডেস্ক নিউজ:

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নুরুল হুদা আওয়ামী লীগ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেছেন, এই সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছে এবং বেশ কয়েকজনের রায়ও কার্যকর করেছে। আওয়ামী লীগ দেশকে উন্নযনের মহাসড়কে তুলে দিয়েছে। শিক্ষা, সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির প্রসার অবকাঠানোর উন্নয়ন এবং প্রকৃতি সংরক্ষণে আজ ধরিত্রীর বিশ্ব মুকুট শেখ হাসিনার মাথায়। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ আজ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়ে বা উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছে।

বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে আওয়ামী লীগের মতবিনিময় সভার উদ্বোধনী বক্তব্যে এ সব কথা বলেন তিনি।

সিইসির সভাপতিত্বে এ মতবিনিময় সভায় অন্যান্য নির্বাচন কমিশনাররা ছাড়াও ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব উপস্থিত ছিলেন। ২১ সদস্য বিশিষ্ট আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

এ সময় সিইসি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ নির্বাচনে জয়ী হয়ে সরকার গঠন করে। শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর তার নেতৃত্বে সরকার বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করেন এবং সাফল্য অর্জন করেন।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা কূটনৈতিক সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী আজ বিশ্বমাতৃকার আসন অলংকৃত করেছেন। নির্বাচন কমিশন যে সকল আইন ও বিধি বিধানে পরিচালিত হচ্ছে তার প্রায় সবগুলোই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তৈরি করা। বিশ্বের বহু দেশের নির্বাচন কমিশনের চেয়ে এ দেশের কমিশন বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে। যা আওয়ামী লীগ সরকার প্রদান করেছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। বঙ্গবন্ধুর অনুপ্রেরণা ও নির্দেশে সেদিনকার আমরা তরুণরা বুকে গ্রেনেড নিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম। ঐতিহাসিক আন্দোলনের মুকুট সবগুলো এসেছে আওয়ামী লীগের হাত ধরে।

সিইসি বলেন, বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে দেশে ফিরে সম্পূর্ণ ধ্বংস দেশ গঠনের দায়িত্ব কাঁধে নেন। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে দেশে একটি সংবিধান উপহার দেন। কূটনৈতিক সাফল্য অর্জন করেন। নির্বাচন কমিশন গঠন করেন। ১৯৭৪ সালে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেন এবং স্বাধীন দেশের প্রথম সংসদীয় সরকার গঠন করেন।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্টের কালো রাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যার মাধ্যমে জাতির কালো অধ্যায়ের সূচনা হয়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং দেশে ফিরে আসেন। বহু সংগ্রাম, বাধা বিপত্তি, ষড়যন্ত্র এবং ভয়ঙ্কর সব পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে দলকে তিনি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসেন। আওয়ামী লীগ ১৯৮৬ সালে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়। শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের আসন লাভ করেন। এর মধ্যে মুসলিশ বিশ্বে প্রথম নারী বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে সম্মান লাভ করেন।

সিইসি বলেন, আজকে যে সংলাপের আয়োজন করেছি তার সবই বর্তমান সরকারের সার্বিক অবদান।

নুরুল হুদা উপস্থিত আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের উদ্দেশ্যে বলেন, এখানে যারা উপস্থিত আছেণ তাদের প্রত্যেকের কাছে থেকে শিক্ষা নেয়া, দীক্ষা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।

সিইসির তার বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, আমি যে বক্তব্য দেব তা সব দলের সঙ্গে সংলাপেই বলে থাকি।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছে ইসি। এরই ধারবাহিকতায় এই বৈঠক হয়। এ পর্যন্ত ৩৮ টি দলের সঙ্গে বৈঠক করল ইসি।