শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, ঈদগাঁও:
কক্সবাজার সদর উপজেলার ঈদগাঁও কালিরছড়াবাসীর মাঝে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। ২ নিরীহ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে নির্যাতন ও স্বীকারোক্তি নেওয়ায় জনমনে বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সম্প্রতি ডাকাত দলের এক সদস্য গণপিটুনীতে নিহত হলে তাদের সহযোগীরা প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে স্থানীয় জনগণকে ধরে নিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। ১৪ ও ১৫ অক্টোবর পৃথক সময়ে কালিরছড়ার ছৈয়দ আহমদের পুত্র ও স্থানীয় খলিল নামের এক রাখাল চারণভুমিতে মহিষ নিয়ে গেলে ১০/১৫ জনের মুখোশপরা সংঘবদ্ধ ডাকাতদল তাদের ধরে নিয়ে পাহাড়ে তুলে তাদের সহযোগী লাল পুতুকে কারা মেরেছে স্বীকারোক্তি নিয়ে মারধর করে ছেড়ে দেয়। বিষয়টি তারা এলাকায় এসে লোকজনকে জানালে স্থানীয়দের মাঝে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করে। ঐ স্থানে চাষীরা ধান পরিচর্যা করতে যেতে ভয় পাচ্ছে। এমনকি স্থানীয় কাঠুরিয়ারাও।
৪ মাস পূর্বে ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়ার ডাকাত সর্দার লাল পুতুর নেতৃত্বে একদল ডাকাত পাহাড়ে অবস্থান করছে জানতে পেরে স্থানীয়রা জড়ো হয়ে পাহাড়টি ঘেরাও করে পুলিশকে খবর দেয়।
এসময় গনপিটুনীতে ডাকাত সর্দার লাল পুতু মারা যায়। এর প্রতিশোধ নিতে তার অন্য সহযোগীরা ঈদগাঁও কালিরছড়া থেকে পূর্ব দিকের গহীন জঙ্গলে ঈদগড় ইউনিয়নে জৈল্যার জুম, পাহাড়িয়া কানিয়া ছড়া, হলহাজির ঘোনা নামক এলাকায় তারা অবস্থান করছে বলে জানা গেছে।
ঈদগাঁও ইউপি সদস্য মাহমুদুল হক মিনার জানান, ১০/১৫ দিন ধরে তারা আবারো সংঘবদ্ধ হয়ে কালিরছড়াবাসীর ক্ষতি করতে জঙ্গলে অবস্থান করছে। এমনকি নিরীহ ৪ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে পাহাড়ে নির্যাতন, মারধর চালিয়ে কাউকে না বলার ভয়ভীতি দেখিয়ে ছেড়ে দেয়। তারা বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকে জানিয়েছে।
ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ খায়রুজ্জামান জানান, সন্ধিগ্ধ এলাকায় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে এবং সোর্স ও নিয়োগ করা হয়েছে। অবস্থান নিশ্চিত হয়ে পুনরায় জনগণকে সাথে নিয়ে ঘেরাও করে তাদের আটক করা হবে।