ডেস্ক নিউজ:
মিয়ানমারের রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে সে দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আজ ব্রাসেলসে এক বৈঠকে বসবেন বলে কথা রয়েছে।
এ বিষয়ের ওপর একটি যৌথ ইশতেহারের খসড়া ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে ফাঁস হয়েছে।
এতে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের শীর্ষ সামরিক অধিনায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা বিবেচনা করা হবে।
মিয়ানমারের ওপর আরোপ করা অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার প্রতি ইউরোপ সমর্থন জানাবে বলেও সেখানে বলা হয়েছে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো ইওরোপীয় নেতারা মিয়ানমারের সরকারের ওপর কতখানি চাপ প্রয়োগ করতে পারেন? এবং নেপিড’র সরকারের ওপর তার কতখানি প্রভাব পড়তে পারে?
আন্তর্জাতিক আইন বিশেষজ্ঞ জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলছেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইতোমধ্যেই বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে রেখেছে বার্মার ওপর। আগে আরো বেশি নিষেধাজ্ঞা ছিলো। এখন দুটি বিষয়ে আছে অস্ত্র সহ। এখন তাদের নতুন নিষেধাজ্ঞার চিন্তা করতে হবে।”
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নকেই এ ক্ষেত্রে বিশ্ব নেতৃত্ব নিতে হবে। যথেষ্ট না হলেও কিছু ব্যবস্থা তারা নেবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি বলেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ ফ্রিজ করা সহ মিয়ানমারের সেনা নিয়ন্ত্রিত প্রতিষ্ঠানের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যবসার ক্ষেত্রে অনেক রকম ব্যবস্থা নেয়ার সম্ভাবনা আছে এবং কতটুকু করবে সেটা আজ বোঝা যাবে।
জিয়াউদ্দিন আহমেদ বলেন, অধিকাংশ রোহিঙ্গাকেই রাখাইন থেকে বের করে দেয়া হয়েছে এবং সেজন্য ওখানে গিয়ে কি ঘটেছে সেটা ইওরোপীয় ইউনিয়নকে দেখতে হবে।
“তাদের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিশন যেনো সেখানে যেতে পারে ও মিয়ানমারের সরকারের ওপর ব্যাপক চাপ দিতে হবে যাতে রোহিঙ্গা নিধন কর্মসূচি তারা বন্ধ করে।”
পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার পরিবেশ মিয়ানমারকে তৈরি করতে হবে এবং এক্ষেত্রে ইউরোপ ছাড়া বাংলাদেশের এ মুহূর্তে আশার জায়গা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র : বিবিসি