ডেস্ক নিউজ:

সংলাপ শেষে বিএনপি দাবি করেছে, নির্বাচন কমিশন আলোচনার শেষের দিকে প্রতিষ্ঠানের সীমাবদ্ধতার কথা বলেছে। প্রতিষ্ঠানটিও এও মনে করে, যে দেশে বর্তমানে সেই অবস্থা নেই, যে অবস্থায় তারা তাদের দায়িত্ব পুরো পালন করতে পারছে না এবং গণতন্ত্রের যে আসল রূপ, সেই রূপ বাংলাদেশে নেই।

তিনি জানান, তার দল নির্বাচন কমিশনকে ২০ দফা প্রস্তাব দিয়েছে। বিএনপির মহাসচিব দাবি করেন, ইসির পক্ষ থেকে তাদের সীমাবদ্ধতার কথা বলা হয়েছে। তার ভাষ্য, আলোচনার শেষ দিকে এসে তারা বিএনপির প্রতিনিধি দলকে জানিয়েছেন, তারা (ইসি) চেষ্টা করবেন। নিজেদের মধ্যে বসবেন, বসে দেখবেন, তারা কী করতে পারেন।

নির্বাচন কমিশন থেকে কি আশা নিয়ে ফিরছেন বা কি উপলব্ধি হয়েছে— এমন প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা দুই ঘণ্টা ৩৫ মিনিট আলাপ করেছি।

শেষের দিকে তারা বলেছেন, অনেকখানি সীমাবদ্ধ আছেন। তবে এ কথাও তারা স্বীকার করেছেন, যে দেশে বর্তমানে সেই অবস্থা নেই, যে অবস্থায় তারা তাদের দায়িত্ব পুরো পালন করতে পারেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, তারা বলেছেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় গণতন্ত্রের যে আসল রূপ, সেই রূপ বাংলাদেশে নেই।

সহায়ক সরকারের বিষয়ে ইসির মনোভাব কেমন ছিল, এমন প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারা বলেছেন, তাদের সীমাবদ্ধতা আছে। তারা চেষ্টা করবেন। নিজেদের মধ্যে বসবেন, বসে দেখবেন, তারা কী করতে পারেন।

এরইমধ্যে ইসি বলেছে, তারা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মধ্যস্থতারকারীর ভূমিকা পালন করবে না, এমন প্রশ্নের উত্তরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, না, আজকে তারা এ কথা বলেননি। তারা বলেছেন, যে, তারা নিজেরা বসবেন, বসে আলাপ করে দেখবেন, তাদের কী কী সুযোগ আছে।

এই সংলাপ করে আপনারা সন্তুষ্ট কী না, ফখরুল ইসলাম বলেন, আমরা বরাবরই বলে এসেছি, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সরকারের যে প্রচণ্ডরকম অগণতান্ত্রিক আচরণ, সেইখানে খুব বেশি আশাবাদী হওয়ার তো কোনও কারণ আছে বলে আমার মনে হয় না। তবে কিছুটা তো বটেই, আশাবাদী।

সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় মির্জা ফখরুলের সঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা ছিলেন। তারা হলেন, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, এম তরিকুল ইসলাম, লেফটেন্যান্ট ( অব) মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিঞা, মীর্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এ এস এম আবদুল হালিম, ইসমাঈল জবি উল্লাহ, আব্দুর রশীদ সরকার, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমদ।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমরা বলেছি লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে সভা-সমাবেশ করার সুযোগ সমানভাবে দিতে হবে।

রোববার সকাল ১১ টায় নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশন কে এম নুরুল হুদা কমিশনের পক্ষে নেতৃত্ব দেন। এছাড়া ইসির কমিশনার, ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন।