হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফের হ্নীলা ওয়াব্রাং থেকে ২ জন মিয়ানমার নাগরিক রোহিঙ্গা এবং ১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে ৩০ লক্ষ টাকা মুল্যের ১০ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করেছে বিজিবি। নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখার অপরাধে ধৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করতঃ ধৃত আসামীদেরকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের ওয়াব্রাং স্লুইসপাড়া গ্রামের সৈয়দ নূরের পুত্র রফিক (২২), মিয়ানমারের মংডু থানাধীন নাকপুরা গ্রামের আবুল বশরের পুত্র মোস্তাক আহমেদ (৩৮) এবং নুরুল ইসলামের পুত্র আবদুল গফুর (২৫)। এ মামলায় আরও ২ জনকে পলাতক আসামী করা হয়েছে। এরা হলেন হ্নীলা স্লুইচপাড়া সুলতান মিয়ার পুত্র হেলাল উদ্দিন (২২), মৃত সুলতান আহমদের পুত্র ফয়সাল (২৫)।

টেকনাফ-২ পরিচালক অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এস এম আরিফুল ইসলাম বলেন ‘১৪ অক্টোবর রাত ১টায় ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ হ্নীলা বিওপির সুবেদার মোঃ আতাউর রহমানের নেতৃত্বে একটি টহল দল হ্নীলা ইউপিস্থ অবরাং নাফ নদীর কিনারায় নিয়মিত টহলে গমন করে। আনুমানিক ২টায় টহল দল ৫ জন ব্যক্তিকে ব্যাগ হাতে নাফ নদীর কিনারা দিয়ে আসতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় চ্যালেঞ্জ করে। আকস্মিক বিজিবি টহল দলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা মাত্রই বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ ব্যাগসহ দ্রুত দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে টহল দলও তাদের পিছু ধাওয়া করে। টহলদল অক্লান্ত পরিশ্রম করে এক পর্যায়ে তিনজন আসামীকে একটি ব্যাগসহ আটক করতে সক্ষম হয়। অপর দুইজন আসামী অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ভেতর পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে টহল দল ইয়াবা পাচারকারী কর্তৃক ফেলে যাওয়া ব্যাগটি তল্লাশী করে ৩০ লক্ষ টাকা মূল্যমানের ১০ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। নিষিদ্ধ ঘোষিত মাদক ইয়াবা ট্যাবলেট বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিজ দখলে রাখার অপরাধে ধৃত ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করতঃ ধৃত আসামীদেরকে জব্দকৃত ইয়াবা ট্যাবলেটসহ টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়েছে’।