ইমরান হোসাইন, পেকুয়া:

পেকুয়ায় ইয়াসমিন আক্তার (১৪) নামের এক কিশোরীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এঘটনায় কিশোরীর স্বজনরা এক যুবককে আটক করে পেকুয়া থানায় সোপর্দ করলেও সাত ঘন্টা পর তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ।
নিহত কিশোরী ইয়াসমিন আক্তারের আত্মীয়স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত দেড়মাস আগে ইয়াসমিন আক্তারকে অপহরণ করে আত্মগোপনে চলে যায় পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী এলাকার কামাল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (১৮)। এ ঘটনায় কিশোরীর পিতা মো. শাহজাহান বাদী হয়ে পেকুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। হন্য হয়ে খুঁজে পেকুয়া থানা পুলিশ ও মেয়ের পরিবার। গত দেড়মাসে কেউ ওই কিশোরীর হদিস না পেলেও শুক্রবার (১৩অক্টোবর) সকালে ওই কিশোরীকে নিয়ে বোনের বাড়ীতে হাজির স্বয়ং অপহরণকারী !
গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় কিশোরীকে সেখানে রেখে কেটে পড়ার চেষ্টা করে অভিযুক্ত যুবক সাইফুল ইসলাম। কিন্তু কিশোরীর অবস্থা সংকটাপন্ন দেখে স্থানীয়রা তাকে আটক করে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আহসান হাবিবের জিম্মায় দেয়। পরে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই কিশোরী মারা গেলে আটক সাইফুল ইসলামকে পেকুয়া থানায় সোপর্দ করা হয়।
এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ, কিশোরীর পরিবারকে সম্পূর্ণ ভুল বুঝিয়ে কৌশলে কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় জড়িত আটক যুবককে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছেন পেকুয়া ও উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চারজন মেম্বার। তারা হলেন, পেকুয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাজ্জাদ হোসেন, ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহনেওয়াজ আজাদ, উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার আহসান হাবিব ও ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার ওসমান গণি।

এব্যাপারে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম খান বলেন, কিশোরীর মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ না পাওয়ায় আটক যুবককে তার পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। সেইসাথে কিশোরীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।