এম.মনছুর আলম, চকরিয়া
ইলিশ ভরা প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরা বন্ধের সময় জেলেদের ভিজিএফ চাউল বিতরণের দাবী জানিয়েছেন কক্সবাজারের চকরিয়ায় ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি।১২অক্টোবর সকাল ১১টার দিকে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাহেদুল ইসলামের মাধ্যমে নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে এ স্বারকলিপি প্রদান করেন জেলা ও উপজেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

সুত্রে জানাগেছে,সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী গত ১ অক্টোবর থেকে ২২অক্টোবর পর্যন্ত টানা ২২দিন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন নদ-নদীতে ইলিশ না ধরার জন্য নির্দেশনা ঘোষনা করেছে সরকার।এরই আলোকে জেলেদেরকে মাঝে ভিজিএফ চাল দেয়ার কথা থাকলেও জেলা ও উপজেলায় জেলেদের ভাগ্যে এখনো জুটছে না বরাদ্দকৃত সে সব চাল।

কক্সবাজার জেলা ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি আশরাফ আলী এ প্রতিবেদককে বলেন,চলতি মৌসুমে বিভিন্ন নদ-নদীতে ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকায় সরকারি ঘোষণার ত্রাণ না পেয়ে হতদরিদ্র জেলেরা বর্তমানে চরম হতাশার মধ্যে দিনযাপন করেছে।জেলে পরিবার গুলো মানবেতর জীবন যাপন করায় তাদের বরাদ্ধকৃত ভিজিএফ চাউল দ্রুত জেলেদের মধ্যে বিতরণ করা জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।নদী থেকে মাছ আহরণ করতে না পারার কারণে বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে জেলে পরিবার ঋন নেয়া টাকা সঠিক সময়ে পরিশোধ করতে পারছেনা।তা নিয়ে দেখা দেয় চরম উৎকন্ঠা।এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে জেলেরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে চালের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.সাহেদুল ইসলাম জেলে সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের উদ্যেশ্য বলেন, ক্ষুদ্র মৎস্যজীবীদের ন্যায়সঙ্গত দাবিগুলো তিনি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে উত্থাপন করবেন এবং তা বাস্তবায়নে সুপারিশ জানাবেন বলে তিনি জানান।তিনি আরো বলেন,জেলে পরিবার গুলো যে সমস্ত এনজিও সংস্থা থেকে ঋন গ্রহণ করেছে তা জেলেদের ৪সপ্তাহের ঋন স্থগিত করার জন্য নির্দেশনা দেয়া হবে বলে তাদেরকে আশ্বাস্থ করেন এবং যতদ্রুত সম্ভব জেলে পরিবারের মাঝে চাউল বিতরণ করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি স্বারকলিপি প্রদানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতির কক্সবাজার জেলা শাখার সভাপতি মো.আশরাফ আলী,সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ দাশ,চকরিয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি রবি জলদাশ, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন,চিত্রসেন,মো: রফিক,মদন জলদাস,মো: ফরিদ,মো: ছৈয়দ হোসেন মাঝিসহ অসংখ্য জেলে পরিবারের সদস্য ও নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।