ডেস্ক নিউজ:

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য ১০ হাজার স্যানিটারি ল্যাট্রিন তৈরিতে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা সহায়তা দিচ্ছে জাতিসংঘের সংস্থা ইউনিসেফ।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার উপস্থিতিতে বুধবার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (রোহিঙ্গা সেল) হাবিবুল কবির এবং ইউনিসেফের কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাডওয়ার্ড বেগবেডার চুক্তিতে সই করেন।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামালও উপস্থিত ছিলেন।

ত্রাণমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য, পয়ঃনিষ্কাশন ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাপনা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকার দেশি-বিদেশি সংস্থাগুলোক নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৩৫ হাজার ল্যাট্রিন প্রয়োজন। সরকার ইতোমধ্যে সাত হাজারের বেশি নির্মাণ করেছে। বাকিগুলো দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এনজিও নির্মাণ করবে।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শিক্ষা, চিকিৎসা ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতা করায় ইউনিসেফের কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান ত্রাণমন্ত্রী।

ত্রাণমন্ত্রী আরও বলেন, কুতুপালংয়ে তিন হাজার একর জায়গায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের নাগরিকদের জন্য একটি জায়গায় আনার ব্যবস্থা করছি। সেখানে পাঁচ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। বিচ্ছিন্নভাবে ২০টি ক্যাম্প আছে। দু’টি ক্যাম্প থেকে ৭-৮ হাজার কুতুপালং ক্যাম্পে আনতে সক্ষম হয়েছি। বান্দরবান থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের একটি ক্যাম্পে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। তাদের থাকার জায়গা, শেড থেকে শুরু করে রাস্তা, বিদ্যুৎ, পানি, স্যানিটেশন কাজের ৮০-৮৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ কামাল বলেন, ইউনিসেফের সহায়তায় ১০ হাজার টয়লেট নির্মাণে ব্যয় হবে ১১ কোটি ৮০ লাখ টাকা। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ৮৪৯টি ল্যাট্রিন স্থাপন করা হয়েছে। প্রকল্পটি আগামী দু্ই মাসের মধ্যে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বাস্তবায়ন করবে।