শাহিদ মোস্তফা শাহিদ, কক্সবাজার সদর:

কক্সবাজার সিভিল সার্জনের উদাসীনতায় সদরের ঈদগাঁওতে ক্লিনিকগুলোতে চলছে স্বাস্থ্যসেবার নামে ভয়াবহ প্রতারণা। বিভিন্ন স্থানে গজে উঠা ব্যাঙের ছাতার মত স্বাস্থ্য ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছে রোগীরা। ঈদগাঁও বাসস্টেশনে অবস্থিত পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ক্লিনিকে কোন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ছাড়াই অদক্ষ নার্সরা ডেলিভারী করার চেষ্টা চালায়। এসময় অপচিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।

জানা যায়, গত ৮ অক্টোবর রাত ১০টায় পোকখালী ইউনিয়নের পূর্ব ইছাখালী এলাকার সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী আকলিমা আক্তার সুমীর প্রসব বেদনা হলে স্বজনরা দ্রুত ঈদগাঁও বাসস্টেশনে পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে নিয়ে আসে। এসময় কোন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকা সত্ত্বেও নার্সরা নরমাল ডেলিভারীর কথা বলে বাচ্চা খালাসের চেষ্টা করে। এমনকি ডাক্তার রয়েছে মর্মে রেখে দেন। পরদিন সকালে ডাক্তার শামিম রাসেল এসে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

নবজাতকের পিতা সিরাজুল ইসলাম জানান, ঐ ক্লিনিকে গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার না থাকা সত্ত্বেও ভর্তি করিয়ে রাখেন। পরদিন ডাক্তার এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতালে নেওয়ার কিছুক্ষণ আগে জন্ম নেওয়া নবজাতকের মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর আত্মীয় স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে ঐ ক্লিনিকের নার্সের উপর ক্ষিপ্ত হন। পরে মালিকপক্ষ এসে সুষ্ঠু সমাধানের আশ^াস দিলে চলে যায়।

এ ব্যাপারে উক্ত ক্লিনিকের পরিচালক সেলিম উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করে উল্টো তাদের চিকিৎসা বাবদ ফি মওকূপ ও মেডিসিনের বিল নেওয়া হয়নি বলে জানায়।

এদিকে ঈদগাঁও বাজারে বটগাছ তলা নামক স্থান ও সাবেক চেয়ারম্যান লুতুমিয়ার বাড়ীর সামনেও কোন ডিগ্রি ও লাইসেন্স ছাড়া অপর ২ মহিলা চিকিৎসক দীর্ঘদিন ধরে এ অপকর্ম চালিয়ে আসছেন। জেলা সিভিল সার্জনের উদাসীনতার কারণে সর্বত্র এরকম ক্লিনিকগুলি ঈদগাঁওবাসীর সাথে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়ার নামে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করে যাচ্ছে।