মোহাম্মদ শফিক: 

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, এক সাথে ৯লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে টিকা খাওয়ানো কার্যক্রম বিশ্বে এটিই প্রথম। ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা বর্হি:বিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। কারণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানো পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবা সহ তাদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করবে সরকার। গতকাল আজ দুপর দেড়টার দিকে উখিয়ার থাইংখালীর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালিক টিকা কর্মসূচীর উদ্বোধনকাল এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ৮টার দিকে উখিয়া ও টেকনাফের ১৬২টি কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়।

এসময় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রয়ের জন্য আসা রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যর ঝুঁকি কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রাণালয় তাদের কলেরা জনিত ডায়রিয়া রোগের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে লক্ষ্যে প্রথম দফায় ৬লাখ ৫০হাজার ও দ্বিতীয় দফায় ২লাখ ৫০হাজার রোহিঙ্গার মাঝে টিকা খাওয়ানো শুরু করে। এর আগে হাম, যক্ষা, পলিও সহ অন্যান্য রোগের টিকাও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৯জন ‘এইচআইভি’ রোগী সনাক্তের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, কলেরা রোগ একটি মহামারি সংক্রামক রোগ। এই রোগ দেখা দিলে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। তাই, আগে থেকেই এই রোগের টিকা কার্যত্রম শুরু করে সরকার।

মন্ত্রী আরো বলেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার মাঝে এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ সুপেয় পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় কলেরা রোগ সৃষ্টি হতে পারে। আর কলেরা একবার সৃষ্টি হলে তা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং মৃত্যুহার বেড়ে যায়।

এসময় প্রতিন্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় অধ্যাপক শায়েলা খাতুন, স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. এএম মজিবুল হক, কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা: আব্দুস সালাম ও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা: আজিজুর রহমান সিদ্দিকী সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রাণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।