বিনোদন ডেস্ক:

সম্পর্ক ভাঙা-গড়ার খেলায় নিত্যই ডুবে থাকে শোবিজ। আজ এ তারকার বিয়ে তো কাল ওই তারকার ছাড়াছাড়ি! এসব নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ি তো চলেই। এসব দেখে বিরক্ত দর্শক-ভক্তরাও। তাই কোনো তারকার বিয়ে হলে তারা প্রার্থনা করেন, বিচ্ছেদটা যেন অন্তত শান্তিতে হয়! চলতি বছর শোবিজের অনেক জনপ্রিয় তারকার সুখের সংসার ভেঙেছে। বলা চলে এ বছরটা তারকাদের ঘর ভাঙনের বছর হিসেবেই বেশি উল্লেখযোগ্য হবে শোবিজের সালতামামিতে।

ভেঙেছে নোভার ঘর

ঘর ভাঙনের সেই মিছিলে সর্বশেষ নাম নোভা আহমেদ। ছোট পর্দার এই অভিনেত্রী ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন জনপ্রিয় নাট্য নির্মাতা রায়হান খানকে। ২০১১ সালের ১১ নভেম্বর বিয়ে করেছিলেন তারা। ২০১৩ সালের ২৮ জুলাই তাদের ঘরে জন্ম নেয় রাফাজ রায়হান। ছয় বছর সংসার করার পর গত ২৬ আগস্ট ঢাকা জজকোর্ট কাজী অফিসে তারা পরস্পরকে ডিভোর্স দেন। তা প্রকাশ হয় গত ৮ অক্টোবর।

জানা গেছে, এ ডিভোর্সে তাদের পারিবারিক সম্মতি ছিল। তবে কী কারণে তাদের সংসারে ভাঙন এল সে বিষয়ে স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

দশ বছরের প্রেমও সংসার বাঁচায়নি মিলার!

স্বামীকে একাধিক নারীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কের দায় দিয়ে বিচ্ছেদের পথে হেঁটেছেন পপ সংগীতশিল্পী মিলা। ১০ বছর প্রেম করার পর চলতি বছরের গত ১২ মে পারিবারিকভাবে পারভেজ সানজারিকে বিয়ে করেছিলেন মিলা। পারভেজ বর্তমানে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে বৈমানিক হিসেবে কর্মরত। এর আগে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ফাইটার পাইলট হিসেবে কাজ করেছেন।

এ তারকার ডিভোর্স নিয়ে অনেক দিন ধরেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। তবে সবকিছুকেই তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছিলেন মিলা। কিন্তু গেল শুক্রবার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বিচ্ছেদের কথা স্বীকার করে নেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘হ্যাঁ, আমি ডিভোর্স দিতে যাচ্ছি। পারভেজ সানজার সঙ্গে ১০ বছর প্রেম করার পর বিয়ে করেছিলাম কিন্তু বিয়ের মাত্র ১৩ দিনের মাথায় জানতে পারি আমার স্বামী একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত। আমার স্বামী ক্রমাগত আমার সাথে প্রতারণা করতে থাকে। বিয়ের আগে যখন আমরা ডেটিং করতাম তখনও একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেম করে আমার সঙ্গে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছিল সে। এমন প্রতারকের সঙ্গে বসবাস করা অসম্ভব।’

দুই বছর পর জানা গেল বাঁধনের ডিভোর্স

এরও আগে প্রকাশ হয় লাক্স তারকা আজমেরি হক বাঁধনের বিচ্ছেদের নিশ্চিত খবর। প্রায় তিন বছর ধরেই নিজের বিচ্ছেদের কথা গোপন রেখেছিলেন এ তারকা। এর আগে বেশ কয়েকবার বাজারে ছড়িয়েছে বাঁধনের ঘর ভাঙনের খবর। তবে সাংবাদিকদের কাছে বরাবরই বিষয়টি এড়িয়ে গেছেন এই অভিনেত্রী। তিনি দাবি করেছেন, স্বামীর সঙ্গে তার মনোমালিন্য হয়েছে। সেটা যে কোনো মুহূর্তেই মিটে যাবে। তবে তা আর হয়নি।

বাঁধনের স্বামী মাশরুর সিদ্দিকী সনেট মুখ খুলেছেন গণমাধ্যমে। তিনি বলেন, ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর তাদের আনুষ্ঠানকি বিচ্ছেদ হয়। এরপর বাঁধনও বিষয়টি স্বীকার করে নেন।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ৮ সেপ্টেম্বর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে ব্যবসায়ী সনেটের সঙ্গে বাঁধন বিয়ের পিড়িঁতে বসেন।

দ্বিতীয় সংসারও টিকল না হাবিবের!

চলতি বছরের শুরুতেই দারুণ ধাক্কা দিয়েছিল হালের মিউজিক ক্রেজ হাবিব ওয়াহিদের সংসার ভাঙনের খবর। গেল বছরের শেষদিকে হঠাৎ গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল হার্টথ্রব সংগীতশিল্পী হাবিবের সাংসারিক টানাপোড়ন চলছে। হাবিবের একাধিক ঘনিষ্ঠজনও বলেছিলেন সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না এই দম্পতির। দু’জনে নাকি গেল বছরের শেষে আলাদাও থেকেছেন কিছুদিন। সেই গুঞ্জন সত্যি হলো অবশেষে।

দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্স হয়ে গেল হাবিবের গত ২৬ জানুয়ারি। দুই পরিবারের সমঝোতায় ডিভোর্স হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাবিব। শিল্পী জীবনের প্রথমে ২০০৩ সালে লুবিয়ানা নামের এক নারীর সঙ্গে প্রেম করে প্রথম বিয়ে করেন হাবিব ওয়াহিদ। কিছুদিন পর সেই সংসার ভেঙে যায়। এরপর মডেল-অভিনেত্রী মোনালিসার সঙ্গে গভীর সম্পর্কে জড়ান এই শিল্পী। ঘোষণা দেয়া হয়েছিল তারা বিয়েও করবেন। কিন্তু কোনো এক কারণে সেই সম্পর্কে পরিণতি আসেনি।

তার কিছুদিন পরই হুট করে ২০১১ সালের ১২ অক্টোবর পারিবারিক সিদ্ধান্তে চট্টগ্রামের মেয়ে রেহানকে বিয়ে করেন হাবিব। এই সংসারে হাবিবের আলিম ওয়াহিদ নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে। এই দম্পতির বিচ্ছেদের কারণে হিসেবে জানা যায়, মিউজিক ইন্ডাস্ট্রির প্লেবয় খ্যাত এ তারকা সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অভিনেত্রী তানজিন তিশার সঙ্গে। সেই জের ধরেই রেহানের সঙ্গে বিচ্ছেদ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাবিবের সঙ্গে এখন তিশার সম্পর্কটাও ভালো যাচ্ছে না। বর্তমানে সিঙ্গেলই রয়েছেন হাবিব।

মেনে নেয়া যায়নি তাহসান-মিথিলার বিচ্ছেদ

তবে চলতি বছরে ডিভোর্স ঘোষণা নিয়ে ভক্তদের শোকের মিছিলে ভাসিয়েছেন শোবিজের আদর্শ জুটি বলে খ্যাত তাহসান-মিথিলা। অনেকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল তাদের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। তবে এ বিষয়ে প্রশ্ন এলে তারা দুজনই কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে গেল ২০ জুলাই দুপুরে তাহসানের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তাহসান-মিথিলা আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের ডিভোর্সের বিষয়টি স্বীকার করে নেন।

দুজন যৌথভাবে এক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘অতি দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হচ্ছে। গত কয়েক মাস ধরেই আমরা বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিলাম। আমরা জানি আমাদের এ সিদ্ধান্তে অনেকে ব্যথিত হবেন। সেজন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।’

এদিকে তাহসানের এক ঘনিষ্ঠ সূত্র নিশ্চিত করেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত জানাতে দেরি হলেও দুই বছর ধরেই আলাদা থাকছেন তাহসান-মিথিলা। তাহসানের ওই সূত্রের দাবি, ২০১৪ সাল থেকেই অবিশ্বাস দানা বাঁধে এই দম্পতিদের মধ্যে। তার কারণ কোনো এক মডেল-অভিনেত্রীর প্রতি তাহসানের দুর্বলতা। একটা সময় দুজন মিলে সব অনুষ্ঠান ও নাটক-বিজ্ঞাপনে অংশ নিতেন তারা। কিন্তু হঠাৎ করেই তাহসান এড়িয়ে চলতে থাকেন মিথিলাকে।

এই নিয়ে প্রায়ই মনোমালিন্য হতো। অবনতি হতে থাকে দাম্পত্যের। একটা পর্যায়ে তাহসানও মিথিলার গোপন সম্পর্কের নানা তথ্য পান। এক গায়ক ও অভিনেতার সঙ্গে মিথিলার সখ্যতার গুঞ্জনও চাউর হয় চারদিকে। এ নিয়ে তাহসানের অবিশ্বাস চরমে পৌঁছায়। যদিও কারও কাছে এসব সম্পর্কের কোনো তথ্য প্রমাণ ছিল না। তবু সন্দেহের জের ধরে তাদের মধ্যে মতবিরোধ তৈরি হয় বলেই ধারণ করছেন তাহসান-মিথিলার ঘনিষ্ঠজনরা।

সেই মতবিরোধের সূত্রে দুজন মিলেই আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৫ সাল থেকেই আলাদা থাকতে শুরু করেন তারা। এরপর তারা একসঙ্গে কিছু নাটক-টেলিফিল্মে কাজ করলেও তাদের মধ্যে আন্তরিকতার অভাব ধরা পড়েছে শুটিং স্পটে। আর সে থেকেই ছড়াতে থাকে এই দুই তারকার সম্পর্ক ভাঙনের গুজব।

এদিকে তাহসান-মিথিলার সংসার ভেঙে যাওয়ার নিশ্চিত খবরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তুমুল সমালোচনা।

কেউ কেউ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ আবার তাহসান-মিথিলা এই দুই পক্ষে বিভক্ত হয়ে সংসার ভাঙার জন্য দায়ী করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। আর শোবিজের মানুষেরা মনে করছে, এমন একটি আদর্শ ও সুখী দম্পতির পতন তারকাদের সংসার জীবনের প্রতি সাধারণ মানুষের মধ্যে শ্রদ্ধাবোধে দারুণভাবে আঘাত করেছে।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে কণ্ঠশিল্পী হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন মেধাবী ছাত্র তাহসান। ওই সময় মিথিলার সঙ্গে পরিচয়। এরপর তাহসানের মনের ঘরে বাঁধেন মিথিলা। ২০০৬ সালের ৩ আগস্ট এক সুতোয় বাঁধা পড়ে তাহসান-মিথিলার জীবন। তাহসান-মিথিলার ঘরে রয়েছে একমাত্র কন্যাসন্তান আইরা তাহরিম খান। বর্তমানে মিথিলার কাছেই থাকে আইরা।

বিচ্ছেদের পথেই হাঁটলেন নিলয়-শখ!

একইভাবে অবাক করেছে আরেক জনপ্রিয় জুটি শখ-নিলয়ের ডিভোর্সের খবরও। চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি দীর্ঘদিনের প্রেমকে মধুর পরিণতি দিতে বিয়ে করেন নিলয়-শখ। পারিবারিক আয়োজনের বিয়েতে তাদের দেনমোহর নির্ধারিত ছিল ১০ লাখ টাকা। তারপর শখ তার পুরান ঢাকার বাসা ছেড়ে মিডিয়ায় নিয়মিত কাজ করবেন বলে নিলয়ের সঙ্গে উত্তরায় বাসা ভাড়া নিয়েছিলেন। কিন্তু বিয়ের বছর না পেরোতেই শোবিজে গুঞ্জনের ডালপালা মেলেছে নিলয়-শখের বৈবাহিক সম্পর্কে ফাটল ধরেছে!

বারবার সেই প্রসঙ্গটি এড়িয়ে গেলেও সম্প্রতি জানা গেল, বিচ্ছেদের পথেই এগিয়েছে এ সংসার। গেল ১৭ জুলাই বিচ্ছেদের কথাই স্বীকার করে নিলেন নিলয়। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এখনও ডিভোর্স হয়নি, প্রক্রিয়া চলছে। নানা কারণেই আমরা দীর্ঘদিন ধরে আলাদা থাকছি।’

২০১৬ সালের ভেঙেছে যেসব তারকার ঘর

এ তো গেল চলতি বছরের বিচ্ছেদ। ২০১৬ সালের ঘটনাও কম নয়। বছরজুড়েই ভেঙেছে তারকাদের সংসার। ওই বছরের মার্চে অভিনেত্রী সোহানা সাবা ও পরিচালক মুরাদ পারভেজের বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা দিয়ে ভাঙনের বছর শুরু। বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে সাবা জানান, ব্যক্তিগত জীবনে আমি কী করছি, কী ভাবছি, কোথায় যাচ্ছি, পছন্দ-অপছন্দ এগুলো মানুষকে জানাতে পছন্দ করি না। মূলত তাদের দুজনের মধ্যে বনিবনা না হওয়ায় এই বিচ্ছেদ হয়।

এরপর ঝড় তোলে মডেল অভিনেত্রী তিন্নির বিচ্ছেদ। ২০১৪ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আদনান হুদা সাদের সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন এ তারকা। আর গেল বছরের ১৩ আগস্ট সাদের সঙ্গে নিজের বিচ্ছেদের বিষয়টি জানান তিন্নি।

হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিল কণ্ঠশিল্পী মৌসুমী আক্তার সালমা ও সাংসদ শিবলী সাদিকের মধ্যে ডিভোর্সের খবরটিও। গেল বছরের ২০ নভেম্বর রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তাদের তালাকের কার্য সম্পন্ন হয়। দিনাজপুরের সংগীত পরিবারের ছেলে শিবলী সাদিক ২০১১ সালে সালমাকে বিয়ে করেন। সংসারজুড়ে আসে একমাত্র কন্যা স্নেহা। রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় সালমা ও শিবলী বসবাস করে আসছিলেন। সালমার পারিবারিক দ্বন্দ্ব চরমে উঠলে সালমাই শিবলীকে ডিভোর্সের উদ্যোগ নেন।

ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন অভিনেত্রী সারিকা। সংসারে এসেছিল ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানও। কিন্তু গেল বছরের নভেম্বরেই স্বামী মাহিমের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় সারিকার। কারণ তার স্বামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই মনোমালিন্য চলছিল। সারিকার মিডিয়ায় কাজ করা নিয়ে এ মনোমালিন্যের সূত্রপাত।

শোবিজের বিচ্ছেদের মিছিলে সেই বছরের মাঝামাঝিতে যোগ হয় গায়ক-সংগীত পরিচালক ইবরার টিপুর নাম। স্ত্রী ফারজানা মিথিলা তাকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন জুন মাসে। টিপুর বিরুদ্ধে পরকীয়া এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে দাম্পত্যের ইতি টানেন মিথিলা। ২০০৪ সালে ইবরার টিপু ও ফারজানা ববি মিথিলার বিয়ে হয়। ওহী ইবরার নামের এই দম্পতির ঘরে ৮ বছরের এক সন্তান আছে।

টিভি নাটকের পরিচিত মুখ শ্যামল মাওলা। তিন বছরের প্রেম পর্ব শেষ করে বিয়ে করেছিলেন নন্দিনীকে। বিয়ের পর পেরিয়ে গেছে আরও তিন বছর। কিন্তু দীর্ঘ ছয় বছরের সম্পর্কটাও শেষ পর্যন্ত টিকল না। নিজেদের একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার উল্লেখ করে কারণ হিসেবে কেবল স্ত্রীর সাথে বনিবনা না হওয়াকেই দায়ী করেন তিনি। সবকিছু চুকিয়ে গত বছরের জুনে শ্যামল মাওলা তার স্ত্রীকে ডিভোর্স দেন। বর্তমানে এ অভিনেতার চুটিয়ে প্রেম করছেন অভিনেত্রী প্রভার সঙ্গে। সেই সম্পর্ক দাম্পত্যে গড়াবে কি না বলা মুশকিল। কারণ, দুজনই সম্পর্কটি প্রকাশ্যে আনেন না। এ বিষয়ে কিছু জানতে চাইলে অস্বীকার করে বিরক্তিও প্রকাশ করেন।

এছাড়া ২০১৬ সালের শুরুতেই হৈ চৈ পড়ে গিয়েছিল সংগীত তারকা আরেফিন রুমির সংসার ভাঙনের খবরে। তবে কিছুদিনের মধ্যেই স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা মিটিয়ে নেন রুমি।

ইতিহাস কাঁদে তারকাদের ঘর ভাঙার সাক্ষী হয়ে!

পাশাপাশি শোবিজের ইতিহাস ঘাটলে আরও কিছু বিচ্ছেদের চিত্র পাওয়া যায়। সেখানে রয়েছে নামি দামি সব তারকার নাম। কাসুন্দি ঘাটলে দেখা যায় একাত্তরের নিখোঁজ বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক জহির রায়হান সুমিতা দেবীর বিচ্ছেদের খবর। তাদের ডিভোর্স হয়েছিল নায়িকা সুচন্দাকে জহির রায়হান বিয়ে করেছিলেন বলে। নায়ক আলমগীর ও গীতিকার খোশনুরের ডিভোর্স হয় বরেণ্য শিল্পী রুনা লায়লার সঙ্গে আলমগীরের প্রেমের কারণে।

একই কারণে সংসার ভেঙেছিল সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী ও শিল্পী সালমা আলীরও। নাট্যমঞ্চে একসঙ্গে অভিনয় করতে গিয়ে পরিচয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী ও সুবর্ণা মুস্তাফার। সেখান থেকেই তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। ফরিদী তার প্রথম স্ত্রী মিনুর সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করে ১৯৮৪ সালে অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফাকে বিয়ে করেন। এই দম্পতি দীর্ঘ ২৪ বছর একসঙ্গে সংসার করেন। ২০০৮ সালে হুট করেই সুবর্ণা ডিভোর্স দেন হুমায়ুন ফরিদীকে। তাদের ঘরে কোনো সন্তান নেই। বিচ্ছেদের পর হুমায়ূন ফরিদী আর সংসারের পথ না মাড়ালেও নাট্য পরিচালক বদরুল আনাম সৌদকে বিয়ে করেন সুবর্ণা।

অন্যদিকে সংগীতাঙ্গনের তুমুল জনপ্রিয় জুটি ছিলেন নকীব খান ও সামিনা চৌধুরী। জনপ্রিয় শিল্পী সুরকার ও সংগীত পরিচালক নকীব খান বিয়ে করেছিলেন সংগীতশিল্পী সামিনা চৌধুরীকে। মতের অমিল হওয়ায় সামিনা চৌধুরী ডিভোর্স দেন নকীব খানকে। বিয়ে করেন অনুষ্ঠান নির্মাতা এজাজ খান স্বপনকে।

আরেক জনপ্রিয় শিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ বিয়ে করেছিলেন মডেল অভিনেত্রী রুনাকে। ভেঙে যায় তাদেরও সংসার। রুনা বেছে নেন প্রবাস জীবন।

বাংলা চলচ্চিত্রের অসম্ভব জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও জনপ্রিয় নায়িকা দিতি ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন একে অপরকে। সন্তানদের কথা চিন্তা করেই নাকি তারা একে অপরের হয়েছিলেন। কিন্তু বেশি দিন টিকেনি এ সংসার। যে সন্তানদের কথা চিন্তা করে তারা এক হয়েছিলেন সেই সন্তানরা একে অপরকে এক পরিবারের ভাবতে পারেননি। পিতা-মাতা আর কি করবেন!

একটি নাট্যদলে কাজ করতে গিয়ে আফসানা মিমির পরিচয় হয় নির্মাতা-অভিনেতা গাজী রাকায়েতের সঙ্গে। পরিচয়ের পর সখ্য। সময়ের ব্যবধানে সেই সখ্য গড়ায় প্রেমে। অতঃপর বিয়ে। কিন্তু বিয়েটা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ১৯৯৬ সালে বিচ্ছেদ ঘটে আফসানা মিমি-গাজী রাকায়েতের।

নব্বই দশকের শেষদিকের আলোচিত বিয়েও ছিল শমীর, আলোচিত বিচ্ছেদও ছিল তারই। ১৯৯৯ সালে পশ্চিমবঙ্গের চিত্রনির্মাতা রিঙ্গোকে বিয়ে করেন শমী কায়সার। বিয়ের স্থায়িত্ব ছিল দুই বছর। নানা কারণে তাদের মধ্যে দূরত্ব বেড়ে সেই বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর শমী আবার বিয়ে করেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরাফাত নামের এক শিক্ষককে।

ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন সোলসখ্যাত ব্যান্ড তারকা পার্থ বড়ুয়া এবং অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। খুব বেশিদিন সেই প্রেম স্থায়ী হয়নি তাদের। বিজ্ঞাপন নির্মাতা অমিতাভ রেজাকে বাবা-মায়ের অমতে ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেত্রী জেনি। দীর্ঘ প্রেমের বিয়ে হলেও তাদের সংসার বেশিদিন টেকেনি। পরে ২০১৪ সালে ঘটা করে দ্বিতীয় বিয়ে করেছিলেন নির্মাতা অমিতাভ রেজা। পাত্রী অভিনেত্রী মিথিলার বড় বোন মিম রশিদ। এই সংসারেও বিচ্ছেদ হয়েছে বলে গোপন সূত্রের খবর।

লালবাগের হাঁসমার্কা কেশ তেলের বিজ্ঞাপন দিয়ে রুমানা সবার দৃষ্টি কাড়েন। এরপর বিজ্ঞাপন নির্মাতা-অভিনেতা আনজাম মাসুদকে প্রেম করে বিয়ে করেন। কিন্তু ভালোবাসার রঙ মেশানো সেই বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। একজন আরেকজনের বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ এনে বিচ্ছেদের পথ বেছে নেন।

জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা জেমস ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেত্রী রথিকে। কিন্তু তাদের এ সংসার বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। জেমস প্রেমে মজে গিয়েছিলেন প্রবাসী এক তরুণীর প্রেমে। আর এতেই ভেঙে যায় তাদের সংসার। সংগীতশিল্পী রবি চৌধুরী ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন সংগীতশিল্পী ডলি সায়ন্তনীকে। কিন্তু তাদের ভালোবাসার সংসার শেষ পর্যন্ত টেকেনি।

চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের ছেলে অভিনেতা ও পরিচালক সোহেল আরমানের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেত্রী তারিন। বাবা-মায়ের অজান্তে পালিয়ে গিয়ে ২০০১ সালে তারিন বিয়ে করেন সোহেলকে। ঘটনাটি গোপন রাখার চেষ্টা করলেও পরে জানাজানি হয়ে যায়। সে বিয়ে খুব আলোচিত হয়। তার চেয়েও দ্বিগুণ আলোচিত হয় বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এই দম্পতির সংসার ভাঙনে।

অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ ছোট পর্দার পরিচালক এজাজ মুন্নাকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তাদের সংসারও টেকেনি বেশিদিন। এজাজ মুন্নার বিরুদ্ধে তাজিন মাদকাসক্তি ও পরনারী আসক্তির অভিযোগ তোলায় তাদের সংসারে ফাটল ধরে। তাজিনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটিয়ে মুন্না লাক্স তারকা ও অভিনেত্রী মমকে বিয়ে করেন। আর তাজিন বিয়ে করেন এক মিউজিশায়নকে।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তাজিন দ্বিতীয় সংসারে ভালো থাকলেও এজাজ মুন্নার সংসার ভাঙনের গুঞ্জন আজকাল সর্বত্রই। এর কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে চিত্র নির্মাতা শিহাব শাহীনের সাথে নাকি পরকীয়ায় মজেছেন মুন্নার দ্বিতীয় স্ত্রী লাক্স তারকা মম।

অভিনেত্রী বিজরী বরকত উল্লাহ ও সংগীত পরিচালক শওকত আলী ইমন একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তাদের ঘরে ফুটফুটে সুন্দর এক কন্যাসন্তান জন্ম হয়। কিন্তু তাদের এ বিয়ে বেশিদিন টেকেনি। ডিভোর্স হয় তাদের। বিজরী পরে বিয়ে করেন অভিনেতা ইন্তেখাব দিনারকে।

অন্যদিকে ইমন পরবর্তীতে একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও নতুন করে এখনো আর কাউকে বিয়ে করেননি। অভিনেত্রী জয়া মডেল ফয়সালের সঙ্গে প্রেম করে বিয়ে করেন। বিয়ের পর ধানমন্ডিতে প্রেমের সোপান হিসেবে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান খুলতেও দেখা যায় তাদের। সুখেই চলছিল তাদের সংসার। কিন্তু হঠাৎ অজানা কিছু বিষয় নিয়ে মনোমালিন্যের ঝড় বইতে শুরু করে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। স্বামী ফয়সাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স লেটার পাঠান জয়া।

অভিনেত্রী অপি করিম ২০০৭ সালে জাপান প্রবাসী কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার তাসির আহমেদকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর কিছুদিন ভালোই ছিলেন তারা। তারপর হঠাৎ তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে। অপির মিডিয়ায় ব্যস্ততা এবং মিডিয়ার লোকদের সঙ্গে মেলামেশাকে কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছিলেন না তাসির।

অন্যদিকে তাসিরের বিরুদ্ধেও আগে আরও একটি বিয়ে করাসহ নানা অভিযোগ তোলেন অপি। ফলে বছর না গড়াতেই তাদের সংসার ভেঙে যায়। এরপর অপি প্রেমে পড়েন নাট্য পরিচালক মাসুদ হাসান উজ্জ্বলের। তারা বিয়েও করেন। কিন্তু সেই বিয়েও বেশিদিন টেকেনি। তাদেরও বিচ্ছেদ হয়ে যায়। বর্তমানে অপি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গীতিকবি এনামুল করিম নির্ঝরের স্ত্রী।

ছোট পর্দার অভিনয় শিল্পী অপূর্ব ও প্রভা ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু প্রভা বিয়ের আগে রাজিব নামক এক ছেলের সঙ্গে প্রেম ও অবাদ মেলামেশায় জড়িয়েছিলেন। অপূর্বর সঙ্গে প্রভার বিয়ের কিছুদিন পরে রাজিব ও প্রভার কিছু ভিডিও চিত্র ফাঁস হলে, অপূর্ব ডিভোর্স দেন প্রভাবে। বিচ্ছেদের পর অপূর্ব নতুন সংসার বাঁধেন নাজিয়া হাসান অদিতির সঙ্গে। এর কিছুদিন পর মাহমুদ শান্ত নামের একজনকে বিয়ে করেন প্রভা। সেই সংসারে ডিভোর্স নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে শ্যামল মাওলার সঙ্গে লিভ টুগেদার করছেন বলে গুঞ্জন শোনা যায়।

মিডিয়াপাড়ায় হিল্লোল-তিন্নির বিয়ে বেশ আলোচিত ছিল। এটাও ছিল ভালোবাসার বিয়ে। তিন্নি ধর্মান্তরিত হয়ে মা-বাবাকে ছেড়ে হিল্লোলের কাছে চলে আসেন। এই দম্পত্তির ঘর আলো করে আসে এক কন্যাসন্তান। তবে এ তারকা দম্পত্তির সংসারও টেকেনি। তিন্নির প্রতি মাদক ও পরপুরুষের আসক্তির অভিযোগ তোলেন হিল্লোল। এ নিয়ে দুজনই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পাল্টা-অভিযোগ তোলেন। এক সময়ের গ্লামার গার্ল তিন্নি এখন চিকিৎসকের পরামর্শে রেস্টে আছেন। হিল্লোল আরেক মডেল অভিনেত্রী নওশীনের সঙ্গে নতুন করে সংসার পেতেছেন।

জনপ্রিয় মডেল, অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী মোজেজা আশরাফ মোনালিসা ২০১২ সালের জুনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ফাইয়াজ শরীফের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। একই বছরের ম্যাজিক ডে ১২.১২.১২তে ঢাকার একটি রেস্টুরেন্টে মোনালিসা ও ফাইয়াজের বিবাবহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উভয় পরিবারের ঘনিষ্ঠজনরা উপস্থিত ছিলেন। বিয়ের মাত্র দু-তিনদিন পরই শুরু হয় দুজনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি। শেষমেষ বিচ্ছেদেই রক্ষা! প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন মোনালিসার প্রেম ছিল সঙ্গীত তারকা হাবিব ওয়াহিদের সাথে।

হৃদয় খান প্রায় চার বছর ধরে প্রেম করে গত বছরের ১ আগস্ট বিয়ে করেন সাত বছরের বড় সুজানাকে। পত্র-পত্রিকা আর টিভির সামনেও স্বগর্বে নিজের প্রেমের কথা, ভালোবাসার কথা বলেছেন হৃদয় খান। কিন্তু হৃদয় খানের অনেক সাধনার বিয়ে বছর ঘুরার আগেই ভাঙনের মুখে পড়েছে। কারণ, পারস্পরিক সমঝোতা না হওয়া। গত ৬ এপ্রিল বিচ্ছেদ হয় হৃদয়-সুজানার।

শিমুল-নাদিয়া ২০০৩ সালে পরস্পরের প্রেমে পড়েন। দীর্ঘদিন প্রেমের পর ২০০৮ সালে তারা বিয়ে করেন। তবে ২০১৪ সালের মাঝামাঝিতে তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন ওঠে। কিন্তু গণমাধ্যমের কাছে বরাবরই তা গোপন রেখেছেন। সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়েছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন নাদিয়া। এই দম্পতির কোনো সন্তান নেই। বিচ্ছেদের পর নাদিয়া বিয়ে করেছেন অভিনেতা নাঈমকে। সেই সংসারে বেশ ভালো আছেন এই তারকা।

ঘর ভাঙনের নতুন গুঞ্জন

অপেক্ষায় আছে আরও বেশ কিছু বিচ্ছেদের আনুষ্ঠানিক ঘোষণার। সেখানে আসতে পারে বাপ্পা-চাঁদনী, শাবনূর, বিন্দু, ক্লোজআপ ওয়ান তারকা লিজাসহ আরও বেশ ক’জন তারকাদের নাম। জানা গেছে, অনেকদিন ধরেই আলাদা থাকছেন বাপ্পা ও চাঁদনী। ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন দুই ভুবনের দুই বাসিন্দা। তবে বিয়ের পর সংসার খুব একটা সুখের হয়নি। সন্তান না হওয়াও এই দম্পতির ভাঙনের একটি কারণ বলে দাবি করেন অনেকে। তবে কেউ কেউ এই খবরকে মুখরোচক বলে দাবি করেন। তাদের মতে সুখেই আছেন এই দম্পতি।

অন্যদিকে শাবনূর বিয়ে করেছিলেন তার চেয়ে জুনিয়র এক ব্যবসায়ীকে। অনিক নামের সেই স্বামীর সঙ্গে মতবিরোধ হওয়ায় ডিভোর্স নিয়েছেন এই দর্শকনন্দিনী- এমনটাই শোনা যায় আজকাল। তবে প্রমাণের অভাবে গণমাধ্যম বিষয়টি নিয়ে কোনো আলোচনায় যায়নি।

তবে অপেক্ষমান ডিভোর্সের মিছিলে সবচেয়ে বড় দুটি নাম শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। দীর্ঘ আট বছরের দাম্পত্য জীবন লুকিয়ে রেখেছিলেন তারা। অবশেষে চলতি বছরের শুরুর দিকে পুত্র আব্রামসহ একটি টেলিভিশনের লাইভে এসে বিয়ের কথা প্রকাশ করে দেশজুড়ে বোম ফাটান অপু বিশ্বাস। এরপর শাকিব অনেক নাটক করার চেষ্টা করে শেষমেষ স্ত্রী-পুত্রকে স্বীকার করে নেন। তবে গোপন সূত্রের খবর, অপুর সঙ্গে সম্পর্ক না রাখারই সিদ্ধান্তই নিয়েছেন শাকিব। তবে অপু এ বিষয়ে বলেন, ‌‘এসবই অপপ্রচার। আমাদের দাম্পত্যে আর দশটি দাম্পত্যের মতোই অভিমান চলছে। সংসার ভাঙনের মতো কিছু হয়নি।’ আর শাকিবের ঘনিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বিচ্ছেদ নিয়ে কোনো ভাবনা নেই এই তারকার। সময়ের ব্যস্ততায় তিনি সংসারে সময় দিতে পারেন না। তবে সংসারের সব দায়িত্বই পালন করে চলেছেন।

দাম্পত্যে সুখে থাকুন প্রিয় তারকারা

ঘর ভাঙার এই লম্বা মিছিল দেখে বিব্রত ও বিরক্ত শোবিজের নানা অঙ্গনের মানুষেরা। তারা দাবি করেন, তারকাদের ডিভোর্সের সংস্কৃতি বেশ পুরনো। কিন্তু সাম্প্রতিককালে তার হার বেড়েই চলছে। যা বেদনার ও অমর্যাদাকর। ভাঙনের এইসব খবর সমাজে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। দর্শক-ভক্তদের মনে তারকাদের নিয়ে মন্দ উপলব্দির জন্ম দিচ্ছে। সম্পর্কের প্রতি দায়িত্বশীল হয়ে সংসার টিকিয়ে রাখতে তারকাদের আরও মনযোগী হওয়া উচিত বলে মনে করেন মনস্তত্ববিদরা।