হাফেজ মুহাম্মদ কাশেম, টেকনাফ :

টেকনাফের হ্নীলা সুর্যের হাসি ক্লিনিকে গত ২১ দিনে ২৪ জন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নারীর বিনা মুল্যে ডেলিভারী সেবা দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। ক্লিনিকে প্রাতিষ্টানিক ডেলিভারী সেবা নেয়া প্রসূতী এবং শিশু সুস্থ অবস্থায় ক্লিনিক ত্যাগ করেছেন। তাছাড়া উক্ত ২১ দিনে ৫৮৭ জন সাধারণ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুকে বিভিন্ন সেবা প্রদান করা হয়েছে। টেকনাফের হ্নীলা মৌলভী বাজার সূর্যের হাসি ক্লিনিকের ম্যানেজার অজয় কুমার চৌধুরী ২১ সেপ্টেম্বর বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, টেকনাফের হ্নীলা মৌলভী বাজার সূর্যের হাসি ক্লিনিকটির অবস্থান টেকনাফ-কক্সবাজার প্রধান সড়ক সংলগ্ন। তাছাড়া সীমান্তের নাফ নদীর অতি নিকটে। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ হতে নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে পথিমধ্যেই সন্তান সম্ভাবা রোহিঙ্গা নারীদের প্রসব বেদনা শুরু হলে পরিচিত এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় নিকটস্থ হ্নীলা মৌলভী বাজার সূর্যের হাসি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ডাক্তার, প্যারামেডিক, ধাত্রী ও নার্সদের সহায়তায় সুন্দরভাবে ডেলিভারী সম্পন্ন করা হচ্ছে।

ক্লিনিকের ম্যানেজার অজয় কুমার চৌধুরী বলেন ‘এ পর্যন্ত কোন রোহিঙ্গা প্রসূতীর জঠিলতা পাওয়া যায়নি। ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল পর্যন্ত সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে ক্লিনিকে আসা রোহিঙ্গা ২৪ জন প্রসূতী মা’কে প্রতিষ্টানিক প্রসব সেবা দেওয়া হয়েছে। এরা হলেন কাচাঁরীবিল মোঃ ইলিয়াসের স্ত্রী হোসনে আরা বেগম (২৪), কেয়াংমং মোঃ সেলিমের স্ত্রী শাহেনা আক্তার (২২), বলিবাজার মোঃ রফিকের স্ত্রী সাজেদা বেগম (৩০), বুচিদং মোঃ আব্দুল্লাহ’র স্ত্রী হাজেরা খাতুন (২১), বলিবাজার মোঃ ইলিয়াছের স্ত্রী জমিলা খাতুন (২০), ফকিরাবাজার আব্দুস সোবাহানের স্ত্রী খালেদা বেগম (২০), মংডু শাহেব বাজার শামশু মিয়ার স্ত্রী জহুরা বেগম (৩২), টমবাজার সৈয়দ নুরের স্ত্রী আছিয়া খাতুন (৩৩), রাছিদং মোঃ ফারুকের স্ত্রী তাহেরা বেগম (২২), বুচিদং আবছার উদ্দীনের স্ত্রী রাশেদা বেগম (২৫), আমির হামজার স্ত্রী শওকত আরা (২৮), মংডু চম¦্যন্যাপাড়া জান্নাত উল্লাহ’র স্ত্রী সনজিদা বেগম (২৬), বুচিদং মোঃ বাছেরের স্ত্রী সেতারা বেগম (৩০), সায়ারবিল মোঃ আক্তারের স্ত্রী জেসমীন আাক্তার (২৫), কুয়ারবিল মোঃ ফরিদ আলমের স্ত্রী ছবুরা খাতুন (৩০)। এরা সকলেই নিঃস্ব অসহায় হয়ে সূর্যের হাসি ক্লিনিক হতে প্রসব সেবা গ্রহন করেন। সেবা পরতর্বী তারা সকলেই নিজ নিজ ক্যাম্পে চলে যান। এছাড়াও প্রতিদিন রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রাতিষ্টানিক ডেলিভারী এবং সাধারণ রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুকে ফ্রি চিকিৎসা সেবা অব্যাহত রয়েছে’। ##