এম,জুবাইর হোছাইন, সেন্টমার্টিন থেকে:

দেশের সর্বদক্ষিণ সীমান্তে টেকনাফ উপজেলার আওতাধীন বঙ্গোপসাগরের বুকে অবস্হিত প্রবাল দ্বীপে সৃষ্ট ফণীর প্রভাবে টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে৪ দিন নৌ চলাচল বন্ধ থাকায় আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে খাবারের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।ফলে সেন্টমার্টিন বাসী দূর্বিষহ জীবন যাপন করছে।

জানা যায়, টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনের দূরত্ব ৪৮ কিলো মিটার। টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে বোট চলাচল বন্ধ থাকায় আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে সেন্টমার্টিনে নিত্য প্রয়োজনীয়সহ খাবারের তীব্র সংকট দিয়েছে। প্রত্যকদিন ইন্জিল চালিত সার্ভিট বোট টেকনাফ খায়ুক খালী ঘাট থেকে দ্বীপবাসীসহ দেশী বিদেশী পর্যটকদের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল,খাদ্য সামগ্রীসহ বিভিন্ন পণ্য বোঝাই করে সেন্টমার্টিনে আসেন। টেকনাফ ঘাট পাড়ি দেওয়া মালামাল নিয়ে দ্বীপবাসীর একমাত্র জীবনযাত্রা। খায়ুক খালী ঘাট থেকে মালামাল বোঝাই সার্ভিস বোটে সেন্টমার্টিন বাসীর জীবন যাপন সীমাবদ্ধ। কোন বিকল্প পন্হা না থাকায় সেখান থেকে আসা নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী পেলে চাহিদা মিটায়। যদি কোনক্রমে ঐ ঘাট থেকে যাত্রী বাহী সার্ভিস বোট সেন্টমার্টিনে না আসে খাদ্যের অভাবে অনাহারে থাকেন দ্বীপের লোকজন।
ফণীর প্রভাবে ৪ নং সতর্ক সংকতের দরুণ পহেলা মে হতে ৪ দিন ধরে টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে যানচলাচল বন্ধ। টেকনাফ খায়ুক খালী ঘাট থেকর কোন সার্ভিস বোট সেন্টমার্টিনে আসতে না পারায় দ্বীপে তীব্র খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। প্রায়১০ হাজার লোকের বসতির দ্বীপ সেন্টমার্টিনের নির্দিষ্ট বাজারের দিন নেই। সেই বাজারে টেকনাফ থেকে আনিত চুলা,দূধ,মুড়ি,কলা, চাল,ডাল,কাপড়,ঔষুধ হ নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল দিয়ে বাসিন্দাদের জীবন।কিন্তু হঠাৎ সেই বাজারের দোকানে নিত্য প্রয়োজনীয় মালালের তীব্র সংকট দেখা দেওয়ায় বিপাকে দ্বীপবাসী। দ্বীপে চুলা,মুড়ি,দুধ কাচামাল,মুরগীসহ ইত্যাদি সংকট গুরুতর। কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা নিলে আসন্ন মাহে রমজানের প্রাক প্রস্তুতি থেকে বঞ্চিত হবে দ্বীপবাসী।

সেন্টমার্টিন আলম ষ্টোরের মালিক পাইকারী বিক্রেতা নুর আলম জানান, রমজানের কোন মালামাল আমাদের কাছে জমা নেই। আসন্ন মাহে রমজানে প্রয়াজনীয় চুলা,দূধ,মুড়ি সহ প্রায় মালের সংকট। ফণীর প্রভাবে টেকনাফ থেকে মাল না আসায় নোকছানের মুখে ব্যাবসায়ী।

সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট মালিক সমিতির সাঃ সম্পাদক আলহাজ্ব সৈয়দ আলম জানান, সেন্টমার্টিন সার্ভিস বোট সমিতির ২৪ টি বোট রয়েছে। বোটগুলো ফণীর কারণে টেকনাফে নিরাপদ স্হানে আছে।সৃষ্ট ফণী ও সতর্ক সংকেত কেটে গেলে প্রশাসনিক ভাবে নৌ যান চলাচলের অনুমতি পেলে আগামী ৫ই মে হতে টেকনাফ থেকে যাত্রীবাহী সার্ভিস বোটগুলো সেন্টমার্টিনে চলে আসবেন।
সরেজমিন দেখা যায়, সেন্টমার্টিন জেটি সংলগ্নে হক সুপার মার্কেটে প্রায় দোকান বন্ধ। একমাত্র বাজারের দোকানগুলোতে পবিত্র মাসের প্রয়োজনীয় চুলা, মুড়িসহ কোন মালালাল লক্ষ্য করা যায়নি। মুদি দোকানগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান মাল না থাকায় বেশির ভাগই বন্ধ। এবং যারা খুলেছেন মাল না থাকায় অলস সময় পার করছে। কাচামালের দোকান গুলোতে নাই নাই বিরাজ করেছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিযদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব নুর আহমদ জানান, সেন্টমার্টিন উপকুলীয় এলাকা হওয়ায় সৃষ্ট ফণী ও যে কোন বৈরি আবহাওয়ার কারনে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ চলাচল৪ দিন বন্ধ। সেহেতু সেন্টমার্টিন বাজারে মালামাল কম।আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে পবিত্র রমজানে খাদ্যের সংকট থাকবেনা। প্রতিদিনের ন্যায় টেকনাফ সেন্টমার্টিন রুটে যাত্রীবাহী সার্ভিস বোট যাতায়াত করবেন।নিত্য প্রয়োজনীয় সব মালামাল পাওয়া যাবে।