মো. নুরুল করিম আরমান, লামা প্রতিনিধি :

বিভিন্ন সময় বান্দরবানের লামা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বন্যহাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত ৬ পরিবার পেলো বন বিভাগের ক্ষতিপূরণ। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের হাতে পৃথক ক্ষতিপূরণের ২ লাখ ৭০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কায়চার। এ সময় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা জামাল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জান-মাল ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ কমিটির আহবায়ক রেজা রশীদ, রেঞ্জ কর্মকর্তা ও কমিটির সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী, সরই ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফরিদ উল আলম, বন্যপ্রাণী দ্বারা আক্রান্ত মানুষের জান-মাল ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণ কমিটির সদস্য ও ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ড সদস্য আবদুর রহিম, বন বিভাগের প্রধান সহকারী কাজী গোলাম সরোয়ার, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. কামরুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে উপজেলার সরই ইউনিয়নের হিমছড়ি পাড়ায় হাতির আক্রমনে নিহত আশরাফি বেগমের স্বামী সাহেব আলী ১ লাখ, ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বড়ছন খোলা পাড়ায় আহত ওমর ছিদ্দিক ৫০ হাজার টাকা, কুরুপপাতার ঝিরিতে আহত জাবের মিয়া ৫০ হাজার, গিলাতলী পাড়ার বাসিন্দা ফাতেমা বেগম ঘর ছাগল গরু ক্ষতি বাবদ ২৫ হাজার, ফসলের ক্ষতিপূরণ বাবদ কৃষক রশিদ আহমদ ২০ হাজার ও রাংগার ঝিরির বাসিন্দা শফি আলম পায় ২৫ হাজার টাকার চেক।

বন্যপ্রাণীর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ক্ষতিপূরণের চেক প্রদানের বিষয়ে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস.এম কায়চার বলেন, পাহাড়ে আবাস্থল ও করিডোর নষ্ট হওয়ায় বন্যহাতিগুলো লোকালয়ে নেমে পড়ছে। তাই দুর্গম এলাকায় বসবাসকারীদেরকে জান মালের নিরাপত্তার স্বার্থে এ বিষয়ে বেশি বেশি সতর্ক থাকতে হবে। ভবিষ্যতে বন্যপ্রাণী মানুষের ক্ষতি করে থাকলে, বনবিভাগের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।