ইমাম খাইর, সিবিএন:
আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির বার্ষিক নির্বাচন। ১৭ পদের জন্য লড়েছে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই জোটের ৩৪ প্রার্থী। ১৪ ফেব্রুয়ারী মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও জমার দিনে প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ১৫ ফেব্রুয়ারী বাছাই শেষে বৈধ প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।
এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনের তফসীল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার সিনিয়র এডভোকেট এম. শাহজাহান। তফসীল অনুযায়ী ১৯ ফেব্রুয়ারী চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৪ ফেব্রুয়ারী সকাল ১০ টা থেকে বেলা ২ টা পর্যন্ত জেলা বার প্রাঙ্গনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। এবারের ভোটার সংখ্যা ৬৩২। গতবারের ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৫২।
নির্বাচন কমিশনের দেয়া তথ্য মতে, সভাপতি পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল থেকে নুরুল মোর্শেদ আমিন।
সহ-সভাপতি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের মো. সেলিম নেওয়াজ ও মো. জাহাঙ্গীর আলম। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের ফরিদ উদ্দিন ফারুকী ও ছাদেক উল্লাহ।
সাধারণ সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে ইকবালুর রশিদ আমিন (সোহেল) এবং বিএনপি-জামায়াত প্যানেলের মোহাম্মদ আবদুল মন্নান।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) প্রার্থী মোহাম্মদ নুরুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) মো. ইছহাক শাহরিয়ার।
বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের সহ-সাধারণ সম্পাদক (সাধারণ) প্রার্থী মুহাম্মদ ইউনুছ (সাধারণ) এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (হিসাব) একে ফিরোজ আহমদ।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের পাঠাগার সম্পাদক প্রার্থী মু. আবুল হোছন। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী ছরোয়ার আলম।
আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের এবিএম মহিউদ্দীন। বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল থেকে মনজুরুল ইসলাম।
সদস্য পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন- আমজাদ হোসেন, মোহাম্মদ ইছহাক (জিপি), কফিল উদ্দিন চৌধুরী, মাহাবুবুর রহমান, মোহাম্মদ রফিক উদ্দীন, রবিউল এহেছান, মাহামুদুল হক (মাহমুদ), মোহাম্মদ ইমরুল কায়েস (মানিক) এবং লিপিকা পাল।
বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেলের সদস্য প্রার্থীরা হলেন- আবুল কালাম ছিদ্দিকী, এস.এম নুরুল ইসলাম, সব্বির আহমদ, একেএম আতাউল হক, নাজিম উদ্দিন, মোহাম্মদ তাওহীদুল আনোয়ার, মঈনুল আমিন (ইমু), মোহাম্মদ কলিম উল্লাহ এবং আবু মুসা মোহাম্মদ।
এবারের নির্বাচনে সিনিয়র এডভোকেট এম. শাহজাহান প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং সিনিয়র এডভোকেট বাবু শ্যামল কান্তি চৌধুরী সহকারী প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন- এডভোকেট মুহাম্মদ বাকের, এডভোকেট মোহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, এডভোকেট মো. নুর উল আলম, এডভোকেট ফরিদ আহমদ এবং এডভোকেট মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ।
মনোনয়নপত্র জমার পর প্রত্যেক প্রার্থীই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করলেও ভোটারদের মতামত ভিন্ন। তারা বলছে, যোগ্য ব্যক্তি দেখে নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। যারা বারের উন্নয়ন করতে পারবে, সাধারণ আইনজীবীদের সুখ-দুঃখে পাশে থাকবে, তাদের ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে আইনজীবীরা। তবে, ভোটে তরুণ আইনজীবীরা একটি ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনের বিষয়ে জানতে চাইলে এডভোকেট এম. শাহজাহান জানান, আশা করছি শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন হবে। কারণ যারা প্রার্থী হয়েছেন তারা সবাই দায়িত্বশীল আইনজীবী। অনেকে আবার দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতাও। কোন অপ্রীতিকর ঘটনা হবে না বলেই মনে করছি। সুষ্ঠুভাবে ভোট সম্পন্ন করতে সবার সহযোগিতা চাই।
উল্লেখ্য, গত বছর জেলা বারের নির্বাচন ২৫ ফেব্রুয়ারী অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে সভাপতি ও সম্পাদক পদসহ মোট ৬ পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল জয় লাভ করে। তিনটি সম্পাদকীয় পদসহ ১১ পদে জয়ী হয় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্যানেল।