এম.মনছুর আলম, চকরিয়া:

চকরিয়ায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাতের হস্তক্ষেপে ৯শ্রেণীতে মাদ্রাসা পড়ুয়া এক কিশোরীর বাল্য বিবাহ বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।এর আগে পরিবারের লোকজন বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করেন, সেই আলোকে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন করে ফেলে বর ও কনেপক্ষ।বৃহস্পতিবার রাতে মেহেদী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে কনের বাড়িতে।উপজেলা প্রশাসন খবর পেয়ে ২৫জানুয়ারী রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ছোয়ালিয়া পাড়া এলাকায় প্রশাসন মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রীর এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, চকরিয়া উপজেলার কৈয়ারবিল ইউনিয়নের নবম শ্রেণিতে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্রী অপ্রাপ্ত বয়স্ক জন্নাতুল কোবরা(১৫) সঙ্গে শুক্রবার বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করা হয় একই উপজেলার একই ইউনিয়নের কৈয়ারবিল স্কুল পাড়া এলাকার রুহুল আমিনের পুত্র দুবাই প্রবাসী যুবকের সঙ্গে।স্থানীয়রা বাল্যবিবাহ জানার পর পরই এই বিয়ে বন্ধের উদ্যোগ নিয়ে খবর দেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান কাছে। তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্মকর্তা খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত জানানো হয়। সহকারী কমিশনার(ভূমি) তাৎক্ষনিক ভাবে কনের বাড়িতে চকরিয়া থানার একজন উপ-পরিদর্শকসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ছুটে যান এবং এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করে দেন।এসময় স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউপি চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) খোন্দকার মো.ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত কাছে জানতে চাইলে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,বৃহস্পতিবার রাতে বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠান চলার খবর পাওয়া মাত্রই কৈয়ারবিল ছোয়ালিয়া পাড়া এলাকায় কনের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে দেখলাম আলোকসজ্জা,চলছে গায়ে-হলুদের আয়োজন।এ রখম আয়োজন দেখে সাথে সাথে পরিবারের লোকজনকে ডেকে বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।তিনি আরো বলেন,বিয়ে অনুষ্টানে বাল্যবিয়ের নানা কুফল সম্পর্কে অবহিত করা হয় মেয়ের বাবাসহ পরিবার সদস্যদের।এতে বাবাসহ পরিবার সদস্যরাই উদ্যোগ নেন বিয়ে বন্ধের।তিনি এছাড়াও উপস্থিত সকলকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এ নির্ধারিত সর্বনিন্ম বয়সের পূর্বে ছেলে-মেয়ে বিবাহ প্রদানের ক্ষেত্রে অভিভাবকের শাস্তির বিধানসহ আইনের অন্যান্য বিধান তুলে ধরে সতর্ক করেন। মেয়ের বাবা অংগীকার প্রদান করলেন মেয়ের বয়স ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত তিনি বিবাহ প্রদান থেকে বিরত থাকবেন।সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেলে ও মেয়ের বাবাকে সতর্ক করে অংগীকারনামা গ্রহণ করে বাল্য বিবাহ বন্ধের নির্দেশ দেন। স্থানীয় কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেনকে দায়িত্ব প্রদান করা হয় এই বিষয়ে ভবিষ্যতে নজর রাখার জন্য।