প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

বাঙ্গালী জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম হয়েছিল বলেই বাংলাদেশ নামক একটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে। আগামি ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধুর ১০০ তম জন্মদিন। আর ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করবে বাঙ্গালী জাতি। তাই আগামিতেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের দল আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় রাখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

গতকাল ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে কক্সবাজার পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে বিকেলে আলোচনা সভার আয়োজন করে কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগ। সেখানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর জীবনের ১৮ টি বছর কারাগারের অন্ধকারে কাটিয়েছেন। ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট স্বপরিবারে জীবন দিয়ে তিনি বাঙ্গালী জাতির আত্মমর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে কুণ্ঠাবোধ করেননি। সেই মহান মানুষটির জন্ম শতবার্ষিকী ২০২০ সালে। এই দিবসটি যেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে উদযাপন করতে সেজন্য সবাইকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কর। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. সিরাজুল মোস্তফা। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান চেয়ারম্যান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি।

এতে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুচ বাঙ্গালী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি সত্যপ্রিয় চৌধুরী দোলন, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা আসিফুল মওলা, ডা. পরিমল কান্তি দাশ, সেলিম নেওয়াজ, সেলিম উল্লাহ, রিদুয়ান আলী ও দুলাল দাশ।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগ নেতা হাজী এনামুল হক, আতিক উল্লাহ কোম্পানী, সাইফুল ইসলাম চৌধুরী, ইউসুফ বাবুল, শাহেনা আক্তার পাখি, নুরুল আলম পেঠান, শুভদত্ত বড়–য়া, জাফর আলম, নুর মোহাম্মদ, জাফর আলম, মিন্টু দাশ, দেলোয়ার হোসেন জান্নু, আব্দুল মজিদ সুমন, আজিমুল হক আজিম, সেলিম ওয়াজেদ, খোরশেদ আলম, ওয়াহিদ মুরাদ সুমন প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। পরে শিশুদের নিয়ে অতিথিরা কেক কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯ তম জন্মদিন উদযাপন করেন।