নিজস্ব প্রতিবেদক:

সমাজসেবায় এবারের স্বাধীনতা পদকে ভূষিত দেশের কৃতি চিকিৎসক এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ডাঃ একে আজাদ খান বলেছেন-‘এ পুরষ্কার সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা ডায়াবেটিসের বিরুদ্ধে লড়াকো ডায়াবেটিক সমিতির কর্মীদেরই পাওনা। এটা আমার কোন কৃতিত্ব নয়। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সদস্যরাই সারাদেশে ডায়াবেটিস আক্রান্ত মানুষগুলোর সেবা দিয়ে আসছে-আমি তাদেরই একজন সঙ্গী কেবল।’

এবারের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ১৮ জন বিশিষ্টজন স্বাধীনতা পদকে ভুষিত হয়েছেন। তাঁদেরই একজন এই কৃতি পুরুষ ডাঃ একে আজাদ খান। তিনি গত সোমবার কক্সবাজার ডায়াবেটিক হাসপাতাল ভবনে আসলে ডায়াবেটিক সমিতির কর্মকর্তারা তাঁকে সম্বর্ধিত করেন। সম্বর্ধনার জবাবে প্রফেসর ডাঃ একে আজাদ খান এসব বলেন। অনুষ্টানে কক্সবাজার ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমদ, এডভোকেট পীযুষ কান্তি চৌধুরী, প্রবীণ সাংবাদিক বদিউল আলম ও সাবেক পৌর কমিশনার আবু জাফর ছিদ্দিকী বক্তৃতা করেন।

পরে হাসপাতাল ভবনে আয়োজিত ‘গর্ভবতী মহিলাদের ডায়াবেটিস সনাক্তকরণ ও ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসাবে তিনি অংশ গ্রহণ করেন। ডায়াবেটিস নিয়ে তিনি বলেন, ডায়াবেটিস যেহেতু নিরাময়যোগ্য নয় সেহেতু গর্ভবতী মহিলার ডায়াবেটিস সনাক্তকরণের মাধ্যমে গোড়াতেই রোগটিকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে প্রজন্মকে বাঁচানো সর্বাগ্রে প্রয়োজন।

সেমিনারে বারডেম হাসপাতালের এন্ডাক্রাইনোলজি ও ডায়াবোটলজি বিভাগের বিবাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ফারুক পাঠান, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ ভৌমিক ও অধ্যাপক ফারিয়া আফসানা ডায়াবেটিস নিয়ে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন। বহুজাতিক ঔষধ কোম্পানী নভোনরডিক্স এর সহায়তায় আয়োজিত সেমিনারে স্থানীয় চিকিৎসকগন অংশ গ্রহণ করেন।