ইমাম খাইর, সিবিএন:
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে হৃদরোগের উন্নত চিকিৎসার জন্য যাত্রা করেছে করোনারী কেয়ার ইউনিট-সিসিইউ। দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত ও প্রত্যাশিত ৪ শয্যার সিসিইউর কার্যক্রম সোমবার (২৭ আগষ্ট) শুরু হয়েছে।
তবে, একজন মন্ত্রী বা সমপর্যায়ের কাউকে দিয়ে সিসিইউ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী জানান, প্রাথমিকভাবে সিসিইউতে ৩ জন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ৪ জন মেডিকেল অফিসার এবং ৮ জন সেবিকা (নার্স) দায়িত্ব পালন করবেন।
সার্বিক তত্ত্বাবধান করবে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগ।
জাপানের জাইকার বিশেষ সহায়তায় কাঙ্খিত এই সিসিইউতে অত্যাধুনিক মনিটর, বেড, সর্বাধুনিক মেডিকেল চিকিৎসা থাকছে। ইকোকার্ডিওগ্রাম ও অন্যান্য পরীক্ষা করা হবে।
তিনি জানান, ক্যাথল্যাব না থাকায় এন্জিওগ্রাম বা অপারেশন এখনও চালু হবেনা।
এদিকে সোমবার যাত্রা করা সিসিইউ সিস্টেম পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান। এর আগে তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় তিনি বলেছেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বাস্থ্যখাতে অামূল পরিবর্তন এনেছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় এ সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে আগামীতে সেবার মান আরো বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, “২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে আইসিইউ’র পর এবার সিসিইউ স্থাপন করা হয়েছে শুধুমাত্র কক্সবাজারবাসীর উন্নত চিকিৎসার জন্য। এটি স্থাপনের ফলে শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রামের স্বাস্থ্যসেবা প্রার্থীদের এখন আর ঢাকা-চট্টগ্রাম গিয়ে চিকিৎসা নিতে হবেনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন মানুষের দোরগোড়ায় উন্নত চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিয়েছেন।”
এ সময় সাথে ছিলেন- হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পু চ নু, সহকারী পরিচালক ডা. সুলতান আহমদ সিরাজী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ শাহীন আবদুর রহমান চৌধুরী, ডা. বিনয় পাল, ডা. খাইরুন্নেছা মুন্নী, ডা. সাইফ মোহাম্মদ হাসান, ডা. এ হোসাইন সুমন, হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা গোলাম মোর্শেদ, নার্সনেত্রী জেবুন্নেছা, পৌর কাউন্সিলর হেলাল উদ্দিন কবির, কাজী মোরশেদ আহম্মদ বাবু, সালাউদ্দিন সেতু, নারী কাউন্সিলর ইয়াছমিন আকতার ও নাসিমা আক্তার বকুল।