সংবাদদাতা:
কক্সবাজার সদরের পিএমখালীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিরোধীয় জমিতে ধান রোপন করার অভিযোগে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য ইমাম শরীফের ছেলে রুবেলকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) দুপুরে স্থানীয় ছনখোলা পশ্চিমপাড়া থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক মেম্বারপুত্র রুবেলের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলা ও অভিযোগ রয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। তবে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগে আটকের ২ ঘন্টার মাথায় বিশেষ মহলের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ ও তদবির করে মেম্বারপুত্রকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়া হয় বলে জানা গেছে।
ছেলেকে ছাড়িয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন পিতা ইমাম শরীফ (সাবেক মেম্বার) নিজেই। তিনি বলেন, আমি আদালতের নির্দেশ অমান্য করিনি। মিথ্যা অভিযোগে আমার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশ। পরে ছেড়ে দেয়। একই বিষয়ে ভিন্ন বক্তব্য মেম্বারপুত্রকে আটককারী পুলিশ কর্মকর্তা এসআই আবু ছৈয়দের।
তিনি বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় একজনকে আটক করা হয়। উভয়পক্ষে সমঝোতা বা উর্ধ্বতন কোন নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত ছাড় দেয়া হবেনা।
বিরোধীয় জমির মালিকানা দাবীদার আতাউল হক বলেন, চলতি মৌসুমে ধান রোপনের উপযুক্ত করি আমাদের জমি। হঠাৎ চারিদিকে সন্ত্রাসী পাহারা বসিয়ে আমাদের চাষের জমিতে ধান রোপন করে ইমাম শরীফ মেম্বার। বিষয়টি থানাকে অবহিত করার পর পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় অন্যান্য দখলবাজরা পালিয়ে গেলেও মেম্বারের ছেলে রুবেলকে ধরে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, বিরোধীয় জমি আমার আব্বা মরহুম মমতাজুল হকের নামে বিএস ১৫০০ খতিয়ান রেকর্ড রয়েছে। এরপরও জালিয়াতি করে ১২৬৪৭ নং খতিয়ান সৃজন করেন ইমাম শরীফ। পরে আমরা ভূয়া খতিয়ান বাতিল চেয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। আদালত উত্ত খতিয়ানের কার্যকরিতা স্থগিতাদেশ দেয়।
তিনি আরো বলেন, গত ১৩ আগষ্ট কক্সবাজার সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক অসীম কুমার দে বিরোধীয় জমিতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেন। ৫ সেপ্টেম্বর পরবর্তী শুনানীর দিন ধার্য আছে। এ সময়ের মধ্যে উভয়পক্ষকে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেয় আদালত।